কখনো জেহাদ, কখনো মুখে তালা

কখনো জেহাদ, কখনো মুখে তালা

শওগাত আলী সাগর

১.আমরা অপরাধের প্রতিবাদ করি না, অপরাধটা কে করলো তার সাথে সম্পর্ক বিবেচনা করে প্রতিবাদ করা না করার সিদ্ধান্ত নেই।

২. টোকন ঠাকুরকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে তার বন্ধু যাদের অধিকাংশই কবি বা লেখালেখির সাথে সম্পর্কিত- তারা-আর কে কে অনুদানের টাকা নিয়া সিনেমা না বানাইয়া পুরা টাকা মাইরা দিয়া গ্রেফতার হয় নাই- সেই বয়ান দিয়া টোকন ঠাকুরকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। তাদের কাছে অনুদানের টাকা মেরে দেয়াটা অপরাধ না, টোকন ঠাকুরকে গ্রেফতার করাটা অপরাধ।  

আরো অনেকেই যে সিনেমা বানানোর জন্য অনুদানের টাকা নিয়েছেন এবং সেই টাকা পুরা বা আংশিক মেরে দিয়েছেন- তা নিয়ে কিন্তু কেউ আগে কখনো কোনো কথা বলেন নি।

টোকন ঠাকুর গ্রেফতার না হলে এই সব তথ্য জানা যেতো না। শিল্প সংস্কৃতির আর কোন কোন শাখায় এভাবে সরকারি টাকা নিয়ে মেরে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে- সেগুলো অবশ্য এখনো আলোচনায় আসেনি।


আরও পড়ুন: ওদের শাদা হাত কালো হাত ভেঙে দিন


৩. ধর্ষণের প্রতিবাদ করার ক্ষেত্রেও আমাদের অবস্থানটা চুজ অ্যা্ড পিক। কোনো কোনো ঘটনায় আমরা জেহাদ ঘোষণা করি, কোনো কোনো ঘটনায় আমরা মুখে তালা মেরে রাখি।

‘পুরুষ ধর্ষণের’ ব্যাপারে তো কোনো কথাই বলি না।  

৪. ফেসবুকে এখন নতুন এক শ্রেণির গবেষকের আবির্ভাব ঘটেছে। তারা ‘বিয়ের কথা বলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন এবং বিয়ে না করলে সেটিকে ধর্ষণ বলা যাবে না’- এই বিষয়ে নানা বাণী নিয়ে হাজির হচ্ছেন। তার কারণও কিন্তু পক্ষপাত। বিশেষ বিশেষ রাজনীতির সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো উঠছে বলে- তাদের শুভাকাংখীরা এই ধরনের থিওরি নিয়ে মাঠে নেমেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলে এই গবেষকরা ধর্ষণ কেন অপরাধ না- তার পক্ষেও যুক্তি নিয়ে মাঠে নামবেন।  

৫. আমি সবসময়ই বলি-অপরাধ হচ্ছে অপরাধ। অপরাধের বিরুদ্ধে কথা বলেন। চুজ অ্যান্ড পিক প্রতিবাদ করে কোনো লাভ নাই।

শওগাত আলী সাগর, প্রধান সম্পাদক, নতুনদেশ, কানাডা।

news24bd.tv নাজিম