মাগুরায় বাণিজ্যিকভাবে বীজ বিহীন কুল চাষে দৃষ্টান্ত স্থাপন

মাগুরায় বাণিজ্যিকভাবে বীজ বিহীন কুল চাষে দৃষ্টান্ত স্থাপন

রাশেদ খান, মাগুরা

মাগুরায় ৪ একর জমিতে ভারত থেকে আনা সীডলেস বা বীজ বিহীন কুল বাণিজ্যিকভাবে চাষে  দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন রাউতড়া গ্রামের নাসির আহম্মেদ।  

নতুন জাতের এ সীডলেস কুল বাংলাদেশের মধ্যে এই প্রথম মাগুরায় চাষ হয়েছে দাবি কৃষি বিভাগের। প্রতিটি গাছেই প্রচুর পরিমান কুল ধরে। বিচি বিহীন পরিপক্ক এ কুল দেখতে আকারে সাধারণ কুলের মতোই ।

মাগুরা সদরের রাউতড়া গ্রামের নাসির আহম্মেদ প্রথমে ইউটিউব থেকে সীডলেস বা বীজ বিহীন এ কুলের সন্ধান পান। পরে ভারত থেকে  দুই হাজার চারা সংগ্রহ করে তার চার একর জমিতে লাগান।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে জমিতে লাগানো গাছে সেপ্টম্বর মাস থেকে ফুল আসা শুরু করে। ফুল থেকে বর্তমানে প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমানে  কুল ধরেছে।

যা আগামী দুই মাসের মধ্যে পরিপক্ক হবে।

এ জাতের কুল আকারে সাধারণ দেশী জাতের কুলের মত গোলাকার হলেও আকারে একটু বড়। পাকা কুল দেখতে অনেকটা আপেলের মত।

দেখতে আকর্ষনীয় ও খেতে সুস্বাদু এ কুলের বাণিজ্যিক মূল্য রয়েছে। এছাড়া জাতটি নতুন হওয়ায় এ কুল বিক্রি করে ভালো দাম পাবেন বলে আশা করছেন নাসির আহম্মেদ।


আরও পড়ুন: এক ফোঁটা রক্ত পরীক্ষায় শারীরিক প্রতিবন্ধিতা থেকে রক্ষা পেতে পারে আপনার শিশুও


৪ একর জমিতে বিচি বিহীন এ কুল চাষে প্রায় চার লক্ষ টাকা খরচ হয়। ফলন ভালো হলে উৎপাদিত কুল ১৮ থেকে ২০ লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারা সম্ভব দাবি নাসিরের।

শুধু নিজের নয় নাসির এর কুল বাগানে এলাকার একাধিক শ্রমজীবি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
                                                                                                  
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পারচালক সুশান্ত কুমার প্রামানিক বলছে, আদর্শ কৃষক নাসির আহম্মেদ কৃষিকে বানিজ্যিকরণের পথে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। নতুন জাতের এ কুল ও উৎপাদিত চারা বিক্রি করে তিনি অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক লাভবানও হবেন।


দেশের মাটিতে নতুন এ জাতের কুলচাষ আরো সম্প্রসারিত হবে আশা কৃষি বিভাগের।

news24bd.tv কামরুল

সম্পর্কিত খবর