স্নাতকে ভর্তির কী হবে ?

সৈয়দ রায়হান

স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারেনি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যায়গুলো। আলোচনায় গুচ্ছ পদ্ধতি ও অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি। তবে, এরিমধ্যে মান পুন:বন্টন করে ১০০ নম্বরেই বিভাগীয় পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

বিভাগীয় পর্যায়ের এই পদ্ধতি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একত্রে নিলেই এটি গুচ্ছ পদ্ধতি হতো বলে মনে করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।

আর, এরূপ পরিস্থিতিতে ইউজিসিকে আরো শক্তিশালী করা ও উচ্চ শিক্ষার জন্য আলাদা কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষাবিদরা।  

করোনার ফলে এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় অটো প্রমোশনের আওতায় এবার সাড়ে তের লাখের বেশি শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হতে চলেছেন। এর ফলে চলতি সেশনে উচ্চ শিক্ষায় আবেদনের হার বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক ভর্তির বিষয়ে আসেনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।  

করোনা পরিস্থিতির কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থী ভর্তি সহ বিশকিছু বিষয় নিয়ে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সাথে ইতোমধ্যেই বৈঠক করছে ইউজিসি।

এ বৈঠক থেকেও স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে না যাওয়ার বিষয়ে আগেই ইউজিসিকে জানিয়েছিল বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়।

আর শিক্ষার্থীদের মান যাচাইয়ে অনলাইন পদ্ধতিতে না গিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা গ্রহনের বিষয়ে সিন্ধান্তের কথা জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে, অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার জন্য নির্ভরযোগ্য এ্যাপের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

বিভাগীয় পর্যায়ের ঢাবির পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একত্রে নেয়া গেলেই সেটি সমন্বিত হতো বলেও মনে করেন তিনি। আর, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এমন সমন্বয়হীনতায় ইউজিসিকে আরো শক্তিশালী হওয়া সহ উচ্চ শিক্ষার জন্য আলাদা কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন অধ্যাপক মেজবাহ কামাল। স্নাতক শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুরাহা দ্রুতই হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

news24bd.tv কামরুল