তর্কে জড়িয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, পৌর মেয়রসহ আহত ১৫

তর্কে জড়িয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, পৌর মেয়রসহ আহত ১৫

অনলাইন ডেস্ক

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, হামলা, সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুরে শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ও চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে শিবগঞ্জ পৌরসভা মেয়র কারিবুল হক রাজিনসহ দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।

পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে।

উপজেলা প্রশাসনের মাসিক সভায় শিবগঞ্জ উপজেলায় বরাদ্দকৃত ৪০ দিনের কর্মসূচি প্রকল্পের অংশ ভাগ নিয়ে মনাকষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা শাহাদাৎ হোসেন খুররম ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফ আলী তর্কে জড়িয়ে পড়েন।

এক পর্যায়ে সভা থেকে মনাকষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেরিয়ে চলে আসার পর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ছাত্রলীগের শামীমকে প্রতিপক্ষের মারধরকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলার এক পর্যায়ে কয়েকটি মোটরসাইকেল, উপজেলা পরিষদ ভবনের জানালার কাঁচ ও উপজেলা প্রশাসনের একটি কক্ষের সব আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার সূত্রপাতের কিছুক্ষণ পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) ঘটনাস্থলে পৌঁছেন।

সংঘর্ষ, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় এমপি গ্রুপ ও উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপ একে অপরকে দায়ী করে।

উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় স্থানীয় এমপি ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাকিব আল রাব্বী, উপজেলা পরিষদের দুই ভাইস চেয়ারম্যান, সকল ইউপি চেয়ারম্যান প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দুই ঘণ্টাব্যাপী ইটপাটকেল নিক্ষেপ, হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে শিবগঞ্জ পৌরসভা মেয়র কারিবুল হক রাজিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আলী রাজ এবং খলিলুর রহমান, সোহেল রানা, আলাউদ্দিনসহ দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়।  
আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর ও কয়েকজন আহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেন শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ শামসুল আলম শাহ।

স্থানীয় এমপি ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজী হননি। তবে তিনি মঙ্গলবার দুপুরের ঘটনাকে উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপকে দায়ী করেন। শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  আতিকুল ইসলাম টুটুল স্থানীয় এমপি ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল গ্রুপকে দায়ী করেন।

শিবগঞ্জ পৌরসভা মেয়র কারিবুল হক রাজিন জানান, মাসিক সভা চলাকালীন সময়ে নিচে উপজেলা চত্বরে কি নিয়ে মারপিট হয় তা জানা নেই।

শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, ৪০ দিনের কর্মসূচি প্রকল্পের জন্য ৭ হাজার ৭৮২ জন কার্ডধারী হবেন, এজন্যে প্রত্যেকে ৮ হাজার টাকা করে ৩ কোটি ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়ার কথা। মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদের সভায় উপস্থিত থাকা একাধিক জন জানান, ৪০ দিনের কর্মসূচিসহ বিভিন্ন বরাদ্দের ভাগ নিয়ে কথা হচ্ছিল সভায়।

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর