বিভিন্ন দেশে মুসলমানরা আইন মানছেন, শ্রদ্ধাও পাচ্ছেন

বিভিন্ন দেশে মুসলমানরা আইন মানছেন, শ্রদ্ধাও পাচ্ছেন

শওগাত আলী সাগর

নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলা করে মুসলমানদের হত্যার ঘটনার পর নিউজিল্যান্ডের জাতীয় সংসদে আজান প্রচারিত হয়েছিলো। ফ্রান্সে হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর ‘ব্যাঙ্গ কার্টুন প্রদর্শনের ‘দায়ে’ একজন শিক্ষককে খুন করার পর ফ্রান্সের সরকারি ভবনের দেয়ালে বিতর্কিত সেই কার্টুনটি প্রচার করা হয়েছে।

নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলা এবং মুসলমানদের হত্যার ঘটনায় সারা বিশ্বই মর্মাহত হয়েছিলো। ফ্রান্সের স্কুল শিক্ষককে খুন করে ফেলার ঘটনায় সেই অর্থে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর তেমন একটা শোনা যায়নি।

সংখ্যাগরিষ্ঠ ভিন্নধর্মীর (মুসলমানরা যাদের বলেন বিধর্মী) দেশ নিউজিল্যান্ড যখন সংসদে আজান প্রচার করে- তখন সে দেশের ‘বিধর্মী’ নাগরিকদের মনে কোনো বিরুপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে বলে আমরা শুনিনি।

নিউজিল্যান্ডে বসবাসরত মুসলমানরা সেদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সেই দেশ তাদের শ্রদ্ধার মর্যাদা দিয়েছে। কানাডায় যখন কোথাও মুসলিম বিদ্ধেষ দেখা দেয়- তখন প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে পুরো দেশ সক্রিয় হয়ে ওঠে, তারা মুসলমানদের দিকে সহায়তার হাত বোড়িয়ে দেয়।


আরও পড়ুন: মহানবী (সা:) প্রসঙ্গ: সব পীর ভন্ড নয়, কিছু পীর বীরও হয়


কানাডার বিভিন্ন প্রভিন্সে ‘ইসলামোফোবিয়’র বিরুদ্ধে আইন পর্যন্ত হয়েছে। কানাডায় বসবাসরত সিংহভাগ মুসলমানই এদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, ফলে দেশ তাদের অনুভূতি যাতে আঘাতপ্রাপ্ত না হয় - সেজন্য সক্রিয় থাকে। এই বাস্তবতাগুলো নিউজিল্যান্ড - কানাডার বাইরে বসবাসরত মুসলমানরা যতো দ্রুত বুঝতে পারবেন - ততোই দ্রুত তাদের জন্য সেটি ভালো ফল বয়ে আনবে। নবীর অবমাননার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের পাশাপাশি ক্ষীণ স্বরে হলেও ফ্রান্সের স্কুল শিক্ষককে জবাই করে হত্যার বিরুদ্ধে কথা বলার চেষ্টা থাকা দরকার।

শওগাত আলী সাগর, প্রধান সম্পাদক, নতুনদেশ, কানাডা।

news24bd.tv আহমেদ

সম্পর্কিত খবর