মারী ও মড়ক শব্দের সঙ্গে আমাদের পরিচয় আছে। মহামারি শব্দটিও আমরা জানতাম। মহামারি কী সেটা এবার আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। বিশেষ করে আমাদের মাঝে যারা স্বজন বা আত্মীয় হারিয়েছেন তারা বুঝতে পারছেন করোনা ভাইরাস আসলে কী জিনিস!
ধীরে ধীরে অফিস থেকে শুরু করে সুন্দরবন সব কিছুই খুলেছে।
খুলেছে সিনেমা হলও। মানুষের বিনোদন ও কর্মের জায়গাগুলোতে এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানে হলো অপরজনের সঙ্গে তিন ফুট বা ইউরোপের সঙ্গে মিলিয়ে ৬ ফুট ব্যবধান রেখে চলাফেরা করা। মাস্ক পরিধান করা।ব্যবধান রেখে চলাফেরা করতে বলা হচ্ছে কেন? কারণ আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি বা কাশির সঙ্গে বাতাসে মিহি জলকণা ছড়িয়ে দেয়। যাকে ইংরেজিতে বলা হয় ড্রপলেট। এই মিহি জলকণা করোনা ভাইরাসকে বহন করে ৬ ফুট পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে পারে। কাজেই দূরত্ব বজায় রাখলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমবে।
আবার নিঃশ্বাসের সঙ্গে যে অতি মিহি জলকণা বাতাসে ছড়িয়ে পরে ইংরেজিতে তার নাম এরোসল। রাগারাগি, চিৎকার, জোরে কথা বলা, ব্যায়াম করার সময় বদ্ধ ঘরে এই এরোসল বেশি ছড়াতে পারে। সবাই যদি মাস্ক মুখে লাগিয়ে চলাফেরা করেন তাহলে তিনি বাতাসে ড্রপলেট বা এরোসল কম মেশাতে পারেন।
ফলে, কেউ আক্রান্ত থাকলেও খুব বেশি ভাইরাস তিনি ছাড়তে পারবেন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন না। ফলে, তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে কিছুটা নিশ্চিত বোধ করেন।
তবে আপনার ভালো থাকা নির্ভর করছে আপনার সচেতনতার ওপর। আপনি ঠিকঠাক স্বাস্থ্য বিধি মানতে পারছেন কী না তার ওপর নির্ভর করছে আপনার ভালো থাকা। মনে রাখতে হবে আপনার ক্ষতি মানে আপনার পরিবারের ক্ষতি। অন্যরা আহা ওহু করতে পারবে। মানে সমবেদনা জানাতে পারবে। কিন্তু ক্ষতিপূরণ করতে পারবে না। কাজেই করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা আসতে পারে বলে যে সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে তা আমলে নেওয়া দরকার।
তাহলে কথা হলো, সতর্ক থাকার দুই উপায়; ব্যবধান রাখা মানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পরা।
এবার শীতে তাহলে সচেতনতা দিয়ে করোনা ঠেকিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করার এখনই সময়।
আনোয়ার সাদী, সিনিয়র নিউজ এডিটর, নিউজ টোয়েন্টিফোর।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার রাষ্ট্রে মাস্তানী চলে না
news24bd.tv তৌহিদ