শ্যালকের শাশুড়িকে বিয়ে, প্রতিবাদ করায় প্রথম স্ত্রীকে নির্যাতন

শ্যালকের শাশুড়িকে বিয়ে, প্রতিবাদ করায় প্রথম স্ত্রীকে নির্যাতন

অনলাইন ডেস্ক

প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই শ্যালকের বিধবা শাশুড়িকে বিয়ে করেন সুলতান আহম্মেদ (৩৮) নামের জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার এক গ্রাম পুলিশ। এ নিয়ে প্রথম স্ত্রী রুবি বেগম প্রতিবাদ করলে তার ওপর নির্যাতন করেন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার নির্যাতনের একপর্যায়ে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেন সুলতান। এরপরও চলে না গেলে রুবি বেগমকে মারধর করেন সুলতান ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী।

পরে স্থানীয়রা রুবি বেগমকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সুলতান আহম্মেদ ও তার দ্বিত্বীয় স্ত্রীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রুবি বেগম। একই সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৮ বছর আগে বগারচর গুচ্ছগ্রাম এলাকার হায়দার আলীর মেয়ে রুবি বেগমকে বিয়ে করেন বগারচর গাংছড়া এলাকার সবজল হকের ছেলে গ্রাম পুলিশ সুলতান আহম্মেদ।

বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে সুলতান। যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় স্ত্রীকে বিভিন্ন সময়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন তিনি। তাদের সংসারে তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।

এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিস হলেও সুলতানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বাড়তেই থাকে। একপর্যায়ে স্ত্রী-সন্তানদের ভরন-পোষণ বন্ধ করে দেন সুলতান। প্রতিবাদ করলেই পুলিশের ভয় দেখান গ্রাম পুলিশ সুলতান। তার দাপটে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।

স্থানীয়রা জানান, গ্রাম পুলিশ সুলতান এলাকার অনেক নিরীহ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করেছেন। তার দাপুটে আচরণে পরিবারের লোকজনসহ অতিষ্ঠ এলাকার সাধারণ মানুষ। স্ত্রীকে নির্যাতনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে সুলতানের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে গ্রাম পুলিশ সুলতান আহম্মেদ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়। তাছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত হলে দেশের প্রচলিত আইনে আমার বিচার হবে। ’

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম সম্রাট বলেন, ‘গ্রাম পুলিশ সুলতানের প্রথম স্ত্রী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ’

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর