বলিউডে সেরা সুন্দরীর তালিকায় একেবারে প্রথম সারিতেই রাখা হয় অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনকে। তবে শুধু সৌন্দর্য্যের বিচারে নন, নিজের অভিনয় যোগ্যতাতে তিনি জিতেছেন বহু মানুষের মন। ১ নভেম্বর ৪৭-এ পা দিয়েছেন ঐশ্বরিয়া। ১৯৯৪ সালে বিশ্বসুন্দরী খেতাব জেতেন তিনি।
বলিউডে তার টিকে থাকার কারণ হিসেবে বলা হয় সাবলীল অভিনয়, বাচন ভঙ্গি এবং ক্যারিয়ারের সফল সব ছবি। সফলতায় তাকে বলিউডের প্রথমসারির নায়িকা বানিয়েছে।
ঐশ্বরিয়ার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে বিবেচনা করা হয় হাম দিল দে চুকে সনাম ছবিটি। সঞ্জয় লীলা বনসালির এই মেগা ছবিতে তাঁর অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছিল সিনেপ্রেমীরা।
তাল - সুভাষ ঘাইয়ের মিউজিক্যাল ছবির গান যেমন ছিল সুপারহিট, তেমনই ঐশ্বরিয়ার নাচও ছিল দেখার মতো! তালের সঙ্গীতের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করেন ঐশ্বর্য তাঁর নাচের মাধ্যমে যা দেখে বাহবা দেন সকলে। এরই পাশাপাশি ছিল তাঁর অভিনয়ও।
হামারে দিল আপকে পাস হ্যায় - সতীশ কৌশিকের এই ছবিতে সময়ের আগের এক গল্প তুলে ধরা হয়েছিল৷ সমাজ কীভাবে ধর্ষিতাদের এককোণে করে রাখে, তারই গল্প দেখানো হয়ে এই ছবিতে৷ এই ছবির জন্য ঐশ্বরিয়ার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: কাজল আগারওয়ালের বিয়ে দেখুন ছবি ও ভিডিওতে
দেবদাস - সঞ্জয় লীলা বনসালীর ড্রিম প্রোজেক্টের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ছিল এই ছবির কাস্ট। ঐশ্বরিয়া, মাধুরী ও শাহরুখ অভিনীত এই ছবি কালজয়ী ছবি হিসেবে রয়ে যাবে। খুব স্বাভাবিক মাধুরী ও ঐশ্বরিয়া দুই নায়িকা একসঙ্গে পর্দায় আসায়, তাঁদের দু’জনকে নিয়েই চর্চা হয় বিস্তর। চলে তুলনাও। এই চলচ্চিত্রের জন্যও তিনি ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার পেয়েছিলেন।
রেনকোট - ঋতুপর্ণ ঘোষের ছবি রেনকোট একটি গভীর, রহস্যময় প্রেমের গল্প। এই ছবিতে ঐশ্বরিয়াকে অনেকটাই ডি-গ্ল্যামারাইজ করা হয়েছে। পর্দায় একেবারে সাধারণ গৃহবধূর চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ছবিটি জাতীয় পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছিল এবং ঐশ্বরিয়ার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল।
news24bd.tv আহমেদ