স্টিফেন হকিংকে কথা বলতে সাহায্য করেন যারা

অরুণ মেহতা এবং বিক্রম কৃষ্ণ।

স্টিফেন হকিংকে কথা বলতে সাহায্য করেন যারা

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং–কে কথা বলতে সাহায্য করেছিলেন দুই ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার। তারা হলেন- অরুণ মেহতা এবং বিক্রম কৃষ্ণ।

প্রয়াত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এর স্মৃতিচারণ করতে উঠে আসে এ কথা।

অরুণ বললেন, ২০০১ সালে ভারতে এসেছিলেন হকিং।

সেই সময় মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য যে প্রযুক্তি তিনি ব্যবহার করছিলেন তাতে তাঁর কিছু সমস্যা হচ্ছিল। সে সময় তাঁর সহযোগীরা বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার এবং সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, যাতে তাঁরা এমন কোনো সফ্‌টওয়্যার প্রোগ্রাম তৈরি করতে পারেন যা হকিং–এর মতো রোগীদের যোগাযোগ স্থাপনে সাহায্যকারী হয়।

এসময় এগিয়ে যান দিল্লি আইআইটি–র প্রাক্তনী অরুণ মেহতা এবং তাঁর বন্ধু বিক্রম কৃষ্ণ। তাঁরা দুজন মিলে ‘‌এলোকিউটর’‌ নামে একটি বিশেষ সফ্‌টওয়্যার তৈরি করেন।

এর সাহায্যে মোটর নিউরোন রোগী বা যাঁদের কথা বলতে, লিখতে অসুবিধা হয় তাঁরাও যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হন। এই সফ্‌টওয়্যার বুঝতে পারে এর ব্যবহারকারী কী লিখতে চাইছেন। মনে রাখতে পারে তিনি আগে কী লিখেছিলেন। ‘‌এলোকিউটর’–এর মাধ্যমে একটা মাত্র বোতাম টিপেই হকিং লিখতে পারতেন।

অরুণ আরও বললেন, ওই সফ্‌টওয়্যার তৈরির সময়ই তাঁরা বুঝেছিলেন শারীরিকভাবে অক্ষমদের কাছে প্রযুক্তি কত লাভজনক হতে পারে। এই কাজে যে ব্যবসায়িক লাভ হবে না তাও বুঝতে পারেন তাঁরা।

এরপরই ২০০৯ সালে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাইডিরেকশনাল অ্যাকসেস প্রোমোশন সোসাইটি বা বিএপিএসআই–এর প্রতিষ্ঠা করেন। একাধিক রোগে শারীরিকভাবে অক্ষমদের অন্যদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন নিয়ে কাজ করে তাঁদের এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

উল্লেখ্য, ১৪ মার্চ  মারা যান বিশ্বখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন উইলিয়াম হকিং। যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর