হালাল খাবারের দাবিতে আন্দোলন

আন্দোলনকারী বাংলাদেশিরা।

হালাল খাবারের দাবিতে আন্দোলন

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের পাবলিক স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে হালাল খাদ্য সরবরাহ, দুই ঈদে ছুটি ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশিরা।

অন্য দাবিগুলো হলো- শিশুকালে মা-বাবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর এখন পর্যন্ত যারা ইমিগ্রেশনের বৈধ স্ট্যাটাস পাননি, সে সব তরুণ-তরুণীকে নিরাপদে বসবাস ও কাজের সুযোগদানের লক্ষ্যে ড্রিম এ্যাক্ট তৈরি, তাদের উচ্চ শিক্ষার্থে স্কলারশিপ প্রবর্তণ, পরিবেশন সুরক্ষায় যথাযথ আইন, ধর্মীয় পোষাকের সুরক্ষা, ট্যাক্সি ড্রাইভারদের নিরাপত্তায় আইন।

এসব দাবি নিয়ে অঙ্গরাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে লাগাতার দেন-দরবার চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশিরা।

মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সিটি থেকে শতাধিক প্রবাসীর একটি টিম রাজধানী আলবেনীতে যায়।

দাবি আদায়ে গত ৭ বছর ধরে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ‘বাংলাদেশি আমেরিকান এডভোকেসী গ্রুপ’ রাজ্য গভর্ণরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেন-দরবার করছেন।

বিএএজির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, সমগ্র মুসলিম জনগোষ্ঠীর পক্ষের এ দাবি আদায়ের চেষ্টায় আছি।

জয়নাল আবেদীন বলেন, ইতিমধ্যে স্টেট সিনেটর  ডেমক্র্যাট এন্থনী আভেলা জুনিয়র এবং স্টেট এ্যাসেম্বলীম্যান ডেভিড ওয়েপ্রিন ঈদের দুদিন ছুটি, ধর্মীয় পোশাকের বৈষম্য বিরোধী বিধি এবং ড্রিম এ্যাক্ট বিল উত্থাপন করেছেন অঙ্গরাজ্য পার্লামেন্টে। এছাড়া, ড্রিমারদের উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ প্রদানের বিধি তৈরীর জন্যে দুটি বিল উঠিয়েছেন সিনেটর হোযে প্যারাল্টা এবং স্টেট এ্যাসেম্বলীম্যান ফ্রান্সিসকো ময়া।

অর্থাৎ আমাদের দেন-দরবারের প্রভাব ধীরে ধীরে কাজ করছে।

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ হচ্ছে স্টেট সিনেট। এর সদস্য সংখ্যা ৬৩। এরমধ্যে ডেমক্র্যাট-২১ এবং রিপাবলিকান ৩১। অপরদিকে স্টেট এ্যাসেম্বলীতে ১০৪ আসন নিয়ে ডেমক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। রিপাবলিকানদের আসন-৩৭। এভাবেই ভারসাম্য রক্ষা করা হয়েছে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট স্টেট পার্লামেন্টের। রিপাবলিকানদের সমর্থন ব্যতিত কোনো আইনই করা সম্ভব হয় না নিউইয়র্কে।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/ প্রতিনিধি/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর