৫০ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে জো বাইডেন

৫০ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে জো বাইডেন

নাহিদ জিহান

প্রায় ৫০ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য তৃতীয়বারের মতো চেষ্টায় নেমেছেন ডেমোক্রেট নেতা জো বাইডেন।

রানিংমেট হিসেবে নিয়েছেন কৃষ্ণাঙ্গ-ভারতীয় বংশোদ্ভুত ডেমোক্রেট নেত্রী কামালা হ্যারিসকে। উদারমনা এই

রাজনীতিকের যথেষ্ট সমর্থনও দেখা যাচ্ছে এবারের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে। প্রচেষ্টা এবং স্বপ্ন শেষ পর্যন্ত পূরণ হবে কিনা তা জানা যাবে ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে বর্ষীয়ান নেতা জো বাইডেন ।


আরও পড়ুন: মার্কিন নির্বাচনকে ঘিরে বিশ্বজুড়ে টান টান উত্তেজনা


অত্যন্ত বাকপটু জো বাইডেনের তার কলেজ জীবন থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজনীতিতে অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবার। কিন্তু তার সে স্বপ্ন বেশ কয়েকবারই তার হাতের নাগালে এসেও ফস্কে গেছে।

বাবা ব্যবসায়ী হলেও জন্মের পর বেশ আর্থিক অনটনে বড় হতে হয়েছে বাইডেনকে। পেনসিলভেনিয়ায় হাইস্কুল শেষ করে তিনি পড়তে যান ডেলাওয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে, সেখান থেকে সিরাকিউজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পড়তে।

১৯৬৮ সালে পাশ করে আইনজীবি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও রাজনীতির প্রতি আকর্ষণের ফলে নগর পরিষদের একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জেতার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক পথচলা।

এরপর ১৯৭২ সালে মাত্র ৩০ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ সিনেটর হিসেবে সবার দৃষ্টি কাড়েন বাইডেন।

কিন্তু সাফল্যের শুরুতেই বিরাট এক ঝড় বয়ে যায় তার জীবনে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন বান্ধবী নেইলিয়া হান্টারকে বিয়ে করেছিলেন বাইডেন।


আরও পড়ুন: হোয়াইট হাউজের সামনে আনন্দ উল্লাসে বাইডেন সমর্থকরা


কিন্তু ১৯৭২ সালে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় তার স্ত্রী ও এক বছরের শিশু কন্যা নাওমি। আহত হয় দুই ছেলে

হান্টার ও বো বাইডেন। ৫ বছর পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন জিল জেকবস নামে এক স্কুল শিক্ষিকাকে। তাদের এক ছেলে অ্যাশলি।

রাজনৈতিক জীবনে প্রথম নির্বাচনে দাড়িয়েই হোঁচট খান বাইডেন। ১৯৮৭ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর নির্বাচনের মাত্র তিন মাস আগে অন্যের লেখা চুরি ও অসততার অভিযোগের জেরে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়নের

দৌড় থেকে সরে দাঁড়াবার ঘোষণা দেন বাইডেন। ২০ বছর পর আবার নতুন করে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হবার লড়াইয়ে নামেন ২০০৮ এর নির্বাচনে।

তবে মনোনয়ন পেয়ে যায় আরেক ডেমোক্রেট প্রতিদ্বন্দ্বী বারাক ওবামা। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে ওবামা তার রানিং মেট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে বেছে নেন জো বাইডেনকে।


আরও পড়ুন: ম্যাজিক ফিগার ছোঁয়ার পথে জো বাইডেন


ঘনিষ্ঠ প্রিয়জনদের অকাল মৃত্যুর অভিজ্ঞতা ফের কাবু করে তাকে। বড় ছেলে বো বাইডেনকে হারান ২০১৫ সালে। আর

এই ঘটনা ২০১৬’র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার সময় তাকে বিধ্বস্ত করে দেয়। তিনি সিদ্ধান্ত পাল্টান।

ওবামার শাসনামলে ভাইস প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি পররাষ্ট্র ইস্যুতেও যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেছেন জো বাইডেন। এছাড়া সিনেটর হিসেবে দীর্ঘদিন পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক আমেরিকান সিনেট কমিটিতেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

এবারের লড়াইটি তার রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ লড়াই।

news24bd.tv তুষার

সম্পর্কিত খবর