সিনেমায় অনুদান নিয়ে দুর্নীতি, ভাল সিনেমাও বাদ পড়ে তালিকা থেকে

সিনেমায় অনুদান নিয়ে দুর্নীতি, ভাল সিনেমাও বাদ পড়ে তালিকা থেকে

ফাতেমা কাওসার

দেশীয় চলচ্চিত্রে গতি প্রদান করার লক্ষ্য নিয়ে সরকারি অনুদান শুরু হলেও সেই লক্ষ্য থেকে এখন অনেকটাই পিছিয়ে এসেছে সংশ্লিষ্টরা। অভিযোগ রয়েছে ভালো মানের চিত্রনাট্য বাছাই কমিটিতে নির্বাচিত হলেও চূড়ান্ত কমিটিতে গিয়ে বাদ পড়ে যায়। আবার বাছাই কমিটিতে বাদ পড়া সিনেমাও সামনে চলে আসে, পায় অনুদানও। শুধু তাই নয় এসব কমিটিতে চলচ্চিত্র সম্পর্কে অভিজ্ঞ লোকের অভাব রয়েছে বলেও মনে করেন কেউ কেউ।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য নয়জন নির্মাতা অনুদান পায় ৪ কোটি ১০ লাখ টাকা। প্রথমে তালিকায় আটজনের নাম থাকলেও পরবর্তীতে হঠাৎ করেই যোগ হয় একটি নাম।

সেই বছরই অনুদানের জন্য সিনেমা জমা দেন নির্মাতা ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। বাছাই কমিটিতে যা পায় সর্বোচ্চ নাম্বার।

অথচ চূড়ান্ত কমিটিতে গিয়ে বাদ পড়ে সিনেমাটি। শুধু তাই নয় তার আগের বছরও এই “হীরালাল সেন উপাখ্যান” সিনেমাটি  সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে বাদ পড়ে অনুদানের তালিকা থেকে।

চলচ্চিত্র নির্মাতা ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, চূড়ান্ত কমিটি থেকে বলা হল আপনার চিত্রনাট্য গোছালো না। গোছালো করে নিয়ে আসেন তারপর ভেবে দেখা হবে। তিনি আরও জানান, বাছাই কমিটিতে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া সিনেমাটি গোছালো নয় আর যারা অনেক কম নম্বর পেয়েছে তাদেরটা গোছালো হল কিভাবে।   

তবে এমন ঘটনা নতুন নয়। বরং তার আগেও এমন উদাহরণ তৈরি হয় চলচ্চিত্র নির্মাতা আবু সাইয়্যিদির সাথে। বাছাই কমিটির অন্যতম সদস্য ও চলচ্চিত্র নির্মাতার কণ্ঠ এমন উচ্চকিত নানা অসঙ্গতির কথায়।


আরও পড়ুন: ডেমরায় বৈদ্যুতিক সঞ্জামের গুদামে আগুন, জ্বললো রাতভর


বাছাই কমিটির সদস্য শাহনেওয়াজ কাকলি জানান, নাটকের চেয়েও অযোগ্য স্কিপ্ট জমা পড়ে। যা সিনেমা নয়। সেগুলোও কোন না কোন ভাবে অনুদান পেয়ে যায়।

অনুদান নীতিমালা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চলচ্চিত্র অনুদানের ঘোষণা স্থগিত চেয়ে এবং জমাকৃত সব চলচ্চিত্র নির্মাণ প্যাকেজ প্রস্তাব পুনর্নিরীক্ষণের জন্য উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন জাহাঙ্গীর আলম, অদ্রি হৃদয়েশ, সুপিন বর্মন এবং নির্মাতা খন্দকার সুমন। এরপর চলচ্চিত্রের আঙ্গিনায় নয়, এখন তারা চোখ রাখছেন আদালতের বারান্দায়।

news24bd.tv আহমেদ

এই রকম আরও টপিক