খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে । চিকিৎসকের ছয়টি পদের সবই শূন্য রয়েছে।
এতে ব্যাহত হচ্ছে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার নারীদের চিকিৎসার স্থান ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের কার্যক্রম । এমনকি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ময়না তদন্তও ।
তবে এ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ ।খুলনা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের অধ্যাপক, সহকারি অধ্যাপক ও প্রভাষকের সবগুলো পদই শূন্য। ২০১১ সালে অধ্যাপক শাহ মো. শাহজাহান আলীর অবসরের পর নয় বছর ধরে ফরেনসিকের অধ্যাপকের পদ শূন্য রয়েছে।
উচ্চশিক্ষা ও বদলিজনিত কারণে তিনজন প্রভাষকও কর্মস্থল ছেড়েছেন।
এ সংকট নিরসনে সহকারী অধ্যাপক ডা.আ খ ম শফিউজ্জামানকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলেও কিছুদিন ধরে তিনিও হাসপাতালে আসেন না ।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে শুরু হয়েছে মাছ আহরণ ও শুটকি মৌসুম
চিকিৎসক সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের ক্লাসের পাশাপাশি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ময়না তদন্ত। এমনকি ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার নারীদের চিকিৎসার স্থান ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে ।
তবে এ সংকট নিরসনে এরই মধ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানালেন অধ্যক্ষ ডা.মো.আবদুল আহাদ খুলনা মেডিকেল কলেজ।
অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়মতো খুন-ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করা না হলে ও সঠিক ফরেনসিক প্রতিবেদন তৈরি না হলে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবে ভুক্তভোগীরা।
সময়মতো ফরেনসিক প্রতিবেদন দিতে না পারায় ৫০টির বেশি মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
news24bd.tv তুষার