জনবল সংকটে কালকিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহালদশা

জনবল সংকটে কালকিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহালদশা

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বিভিন্ন সমস্যায় বেহালদশায় পরিণত হয়েছে। প্রায় ৫ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য নির্মিত এই হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

জনবল সংকট আর দালালদের সিন্ডিকেটের কারনে এই সমস্যা বলে দাবি করেছে হাসপাতাল কর্তপক্ষ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ২৪টি পদের মধ্যে বর্তমানে আছে মাত্র ১৩জন।

 এছাড়াও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর ৩৮টি ও চতুর্থ শ্রেণির ১২টি পদ শুন্য রয়েছে। নেই কোনো বিশেজ্ঞ চিকিৎসক। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের।

নিরুপায় হয়ে এসব দরিদ্র মানুষদের চিকিৎসা নিতে পাঠানো হচ্ছে বরিশাল ও ঢাকা মেডিকেলে।

কালকিনিবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দ্রুত চিকিৎসক ও কর্মচারী সংকট সমাধানের
দাবি দাবি স্থানীয়দের।


আরও পড়ুন: বিনামূল্যে করোনার টিকা দিন: প্রধানমন্ত্রী


সরেজমিন দেখা গেছে, কোনোমতে জোড়া-তালি দিয়ে চলছে হাসপাতাল। কর্তব্যরত অনেক ডাক্তার সঠিক সময়ে হাসপাতালে না এসে প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।

রোগীরা সরকারি হাসপাতালে গেলে ডাক্তাররা বিভিন্ন পরীক্ষা দিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে পরীক্ষা করার জন্য পাঠান। দীর্ঘ দিন ধরে বিকল হয়ে রয়েছে এক্সে মেশিন। আর টেকনিশিয়ান

না থাকায় বন্ধ রয়েছে আল্টাসনোগ্রাম মেশিনটি।

কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু সন্তান নিয়ে এসেছিলেন লাকী বেগম। তিনি বলেন, কোনও শিশু চিকিৎসক নেই। বাচ্চাকে নিয়ে সমস্যায় পড়েছি।

এখন ছেলের চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী বরিশালে যেতে হবে যা একদিকে ব্যয়বহুল অন্যদিকে নিয়ে যেতে অনেক সময়েরও প্রয়োজন।

চিকিৎসা নিতে আসা বাবু মিয়া বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির ভেতরে আসলে মনে হবে এটা কোনও হাসপাতাল নয়, চারিদিকে শুধু ময়লা আর আবর্জনা।

পরিষ্কার করার কোনও লোক নেই। তাছাড়া এখানে কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও এক্সরে করার ব্যবস্থা নেই। তাই বাইরে থেকে পরীক্ষা করাতে হয়।

কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ডা. আল বিধান মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, হাসপাতাল বেশ কয়েকটি পদে জনবল শূন্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তালিকা পাঠিয়েছি, আশা করা হচ্ছে সমস্যাটির সমাধান

হবে।   ছাড়াও নষ্ট এক্সরে মেশিনটি মেরাতমের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে শিঘ্রই ঠিক করা হবে।

অপরিচ্ছন্নতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর অভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাও সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর