চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদানের পরিমাণ বাড়লেও কমছে না সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদানের পরিমাণ বাড়লেও কমছে না সমস্যা। বছরের পর বছর কেটে গেলেও অনেকে শেষ করতে পারছে না চলচ্চিত্র। অনুদানের টাকা ফেরত দিতে না পারায় মামলাও চলছে অনেকের নামে।

এমন বাস্তবতায় সরকারের নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতি বছর অনুদান কমিটির পরিবর্তনের দাবি করেছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।

চলচ্চিত্র সরকারি অনুদান এবং অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে ফাতেমা কাউসারের চার পর্বের ধারাবাহিকের তৃতীয় পর্ব আজ।

চলচ্চিত্রের অনুদান নীতিমালায় বলা আছে, অনুদানের প্রথম চেকপ্রাপ্তির ৯ মাসের মধ্যে ছবির কাজ শেষ করতে হবে। তবে বিশেষ অবস্থায় অনুরোধ সাপেক্ষে পরিচালক ঐ সময় বৃদ্ধি করতে পারেন। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেক নির্মাতা তার সিনেমা নির্মাণে পার করেন বছরের পর বছর।


আরও পড়ুন: শঙ্কামুক্ত নন অপূর্ব, প্লাজমা দেওয়ার পর বেড়েছে দুর্বলতা


৪৪ বছরে সরকার অনুদান দিয়েছে ১৪১টি সিনেমাকে। কিন্তু নির্মাণ শেষ করতে পারেনি অর্ধ শতাধিক সিনেমা। অনুদানের শুরুর বছরের চারটি সিনেমার মধ্যে একটি এখনো দেখেনি আলোর মুখ।

সেই ধারাবাহিকতা অর্থাৎ অনুদান নিয়ে ছবি জমা না দেওয়ার রেওয়াজ চলছে এখনো।
মতিন রহমান, জাহাঙ্গির আলম

চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের মতে, অনুদান কমিটির অস্বচ্ছতার কারণেই যোগ্য লোকের কাছে পৌঁছায়না অনুদানের টাকা্।
কামরুন নাহার, তথ্য সচিব , বেলায়েত হোসেন

অথচ অনুদানের সিনেমাই আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে আনতে পারে পুরষ্কার। যে প্রমাণ সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র “সূর্য্ দীঘল বাড়ি”।

যদিও অনুদান প্রকল্পের কর্তারা আন্তর্জাতিকভাবে পুরষ্কৃত এই চলচ্চিত্র মফস্বলের একটি মাত্র একটি সিনেমা হলে তিনদিনের জন্য চালানো ছাড়া আর কোনো পদক্ষেপ নেননি।

news24bd.tv তুষার

সম্পর্কিত খবর