নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে ঢাকার গণপরিবহন। যেখানে চালকদের প্রতিযোগিতায় যানজটের অন্যতম কারণ। আর তাতে দুর্ভোগ বাড়ছে অন্য যানবাহনের,যাত্রীদের। চালকরা বলছেন-যাত্রী তোলার অসুস্থ প্রতিযোগিতা না থাকলে কমবে যানজট।
রাজধানীর বিমানবন্দর বাসস্ট্যান্ড। কে কার আগে যাবে, সেই প্রতিযোগীতা চোখে পড়বে ঘন্টার পর ঘন্টা। চালকদের এই পাল্লাপাল্লিতে মাঝে মধ্যেই আটকে যাচ্ছে মূল সড়ক, বাড়ছে যানজট।
অবশ্য টেলিভিশন ক্যামেরা দেখে বেশি তৎপর ট্রাফিক পুলিশ। মুহূর্তেই ঠিকঠাক প্রধান সড়ক। আর অভিযোগ মানতে নারাজ ট্রফিক পুলিশ।
শুধু বিমানবন্দরই নয়, পুরো রাজধানীতে যানবাহন চলছে ইচ্ছেমত। যেখানে সেখানে থামছে বাস, উঠছেন যাত্রী। স্বয়ং চালকরাই স্বীকার করছেন-তাদের প্রতিযোগীতার কারণেই রাস্তায় বাড়ে যানজট, ভোগান্তি, ঘটে দুর্ঘটনা।
তথ্য বলছে, এখনও দেশে চালক সংকট প্রকট। নিবন্ধিত যানবাহন যেখানে ৪৫ লাখ, সেখানে বৈধ চালক ২৭ লাখের মত। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রশিক্ষিত চালক তৈরির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ।
আরও পড়ুন: ৭৫ কোটি টাকা মূল্যের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার
তিনি জানান, সড়কের সবখানেই পার্কিং - বে থাকতে হবে। পার্কিং বে-এর বাহিরে কোন গাড়ি দাড়াবে না। এই ব্যবস্থা চালু হলে উন্নত বিশ্বের মতো এখানেও বাস সেবা দেয়া সম্ভব।
তবে, রুটভিত্তিক বাস ব্যবস্থাপনা ছাড়া চালকদের শৃঙ্খলায় আনার সুযোগ দেখছেন না নগর বিশেষজ্ঞরা স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। তিনি জানান, রাজধানীতে কয়েকটি রঙয়ের বাস থাকবে আর এদের মালিকানায় থাকবে ৩ থেকে ৪টি কোম্পানি তাহলেই কমবে পরিবহনের এমন অরাজকতা।
রাজধানীর গণপরিবহনকে নিয়মের মধ্যে আনতে ট্রাফিক পুলিশদেরকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনেরও আহবান জানান ভক্তভোগীরা।
news24bd.tv আহমেদ
