ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ হলো হজ। এ একটি মহিমান্বিত ইবাদত, যেখানে বান্দা তার প্রভুর নিকট দাসত্বের পূর্ণ প্রকাশ ঘটায়। হজের প্রকৃত রূপ ও পদ্ধতি বোঝার জন্য আমাদের সামনে আদর্শ হয়ে আছেন রাসুলুল্লাহ (সা.)। আল্লাহ তাআলা কোরআনে ইরশাদ করেছেন, তোমরা তাঁরই (রাসুলের) অনুসরণ করো। (সুরা নিসা, আয়াত : ৫৯) আর এই অনুসরণ হজের ক্ষেত্রেও অপরিহার্য। নিম্নে মহানবী (সা.)-এর হজের পদ্ধতি ও কার্যাবলী কেমন ছিল তা তুলে ধরা হলো নবী করিম (সা.)-এর ইহরাম গ্রহণ এ হজ ছিল শুধু একটি ইবাদতের পরিপূর্ণতা নয়; বরং ছিল এক মহাপাঠ, এক জাগরণ, যেখানে মানবজীবনের শুদ্ধতা, তাওহিদের পরিপূর্ণতা এবং নববী শিক্ষার সর্বশেষ ও চূড়ান্ত বাস্তবায়ন প্রকাশ পেয়েছিল। এ হজের প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি নির্দেশ ছিল এক অনুপম পাথেয়, যার আলোতে যুগে যুগে উম্মত খুঁজে পেয়েছে পথের দিশা। এই মহিমান্বিত হজযাত্রার সূচনা হয়েছিল জিলকদ...
কেমন ছিল মহানবী (সা.)-এর হজ
আসআদ শাহীন

সোনালি যুগে মুসলমানদের নিক্ষেপযন্ত্রের ব্যবহার
আহমাদ আরিফুল ইসলাম

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ সভ্যতা, যা মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রকে ছুঁয়ে গেছে। আত্মরক্ষা ও যুদ্ধকৌশলেও ইসলাম এক যুগান্তকারী চেতনার জন্ম দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন: তোমরা তাদের মোকাবিলায় প্রস্তুত করো যতটুকু সম্ভব শক্তি...। (সুরা আনফাল, আয়াত : ৬০) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় নবীজি (সা.) স্পষ্ট করেন : জেনে রাখো, নিশ্চয়ই শক্তি হচ্ছে নিক্ষেপশক্তি। (মুসলিম, হাদিস : ১৯১৭) হাদিসটি এমন এক সামরিক দর্শন তুলে ধরে, যার ভিত্তি হলো দূরপাল্লায় আঘাত হানার সক্ষমতাযা আজকের ভাষায় ক্ষেপণাস্ত্র বা মিসাইল প্রযুক্তি। তাই মুসলমানরা মধ্যযুগে যুদ্ধকৌশল ও প্রযুক্তির অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। বিশেষত নিক্ষেপযন্ত্র বা দূরপাল্লার হামলার যন্ত্র আবিষ্কার ও ব্যবহারে তারা যুগান্তকারী কিছু উদ্ভাবন করেছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মিনজানিক (Catapult) মিনজানিক ছিল মুসলিম বাহিনীর...
কিছু ইবাদত হোক নীরবে-নিভৃতে একান্তে
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা

নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা বান্দাকে ঈমান ও ইবাদতের নির্দেশ দিয়েছেন এবং প্রতিদানের ওয়াদা করেছেন, তিনি তাঁকে স্মরণ করতে বলেছেন এবং তাদেরকে রহমতে আবৃত করার ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি তাঁর কাছে প্রার্থনা করতে বলেছেন এবং সাড়া দানের অঙ্গীকার করেছেন। তবে যে ইবাদত, জিকির ও দোয়ায় আল্লাহর প্রতি নিষ্ঠা, নিবেদন ও বিনয় যত বেশি থাকে আল্লাহ তাতে তত বেশি খুশি হন। তার হয়ে থাকে মানুষ যখন একান্তে আল্লাহর ইবাদত ও প্রার্থনা করে। নিভৃতে প্রার্থনার নির্দেশ : পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বিনম্র হয়ে আল্লাহর ইবাদত ও প্রার্থনা করার নির্দেশ দিয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, তোমরা বিনীতভাবে ও গোপনে তোমাদের প্রতিপালককে ডাকো। তিনি অবিচারকারীদের পছন্দ করেন না। (সুরা আরাফ, আয়াত : ৫৫) শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) উল্লিখিত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, আয়াতটি যদিও দোয়া বিষয়ক। কিন্তু আল্লাহর ইবাদতগুলোতে দোয়াও শামিল...
কোরআন অনুধাবনে সাহাবায়ে কেরাম
হাদি-উল-ইসলাম

আরবি ভাষাভাষী হওয়া সত্ত্বেও কোরআন অনুধাবনে সাহাবায়ে কেরামের বিশেষ প্রচেষ্টা দেখা যায়। সাহাবায়ে কেরাম শুধু তেলাওয়াত নয়, কোরআন বোঝার ক্ষেত্রেও অগ্রণী ছিলেন। নিম্নে কয়েকজন সাহাবির কোরআন অনুধাবন বিষয়ে আলোচনা করা হলোআবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) বলেন, আমাদের মধ্যে একজন ছিলেন, যিনি ১০টি আয়াত পাঠ করার পর আর আগে বাড়তেন না। যতক্ষণ না তার মর্ম অনুধাবন করতেন এবং ওই অনুযায়ী আমল করতেন। (মুকাদ্দামা ইবনু কাসির; তাফসির তাবারি : ৮১) আবদুল্লাহ ইবনু ওমর (রা.) বলেন, পিতা ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রা.) ১২ বছরে সুরা বাকারাহ শেষ করেন। অতঃপর যেদিন শেষ হয়, সেদিন তিনি কয়েকটি উট নহর করে সবাইকে খাওয়ান। (মুকাদ্দামা তাফসির কুরতুবি; জাহাবি, তারিখুল ইসলাম ৩/২৬৭) ওমর (রা.)-এর মতো একজন মহান ব্যক্তির এই দীর্ঘ সময় লাগার অর্থ কোরআনের এই দীর্ঘতম সুরাটির গভীর তাত্পর্য অনুধাবন সহ পাঠ করা। আবদুল্লাহ...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর