সংবিধানকে সুরক্ষিত রাখতে সদা সচেতন থাকতে হবে: স্পিকার

সংবিধানকে সুরক্ষিত রাখতে সদা সচেতন থাকতে হবে: স্পিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন ধারণ করে ১৯৭২ সালের সংবিধান যেন বাংলার মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণের মধ্য দিয়ে অর্থবহ হয়। সেই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, সংবিধানকে সুরক্ষিত ও সমন্বিত রাখার ক্ষেত্রে আমাদের সদা সচেতন থাকতে হবে। মুজিববর্ষে জন্মশতবার্ষিকীতে আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে সংবিধানের সুফল আমরা বাংলার সকল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেব।

রোববার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনা শুরু করেন স্পিকার।


আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর আলোতেই পথ চলছে জাতীয় পার্টি: রওশন এরশাদ


ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। জনগণের অভিপ্রায় পরম অভিব্যক্তি এই সংবিধান।

১৯৭২ সালের সংবিধানের মূল প্রতিপাদ্য “ভবিষ্যৎ বংশধররা যদি সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারে তাহলে আমার জীবন স্বার্থক হবে শহীদদের রক্তদান স্বার্থক হবে। ” আমাদের সকলকে এই মর্মকথা উপলবদ্ধি করতে হবে। মূল প্রতিপাদ্য স্মরণ রাখতে হবে এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ছড়িয়ে দিতে হবে। এই সংবিধানকে পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করার দায়িত্ব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদের ওপর ভবিষ্যৎ বংশধরদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপরই ন্যস্ত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ধারণ করে এই সংবিধান যেন বাংলার মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণের মধ্য দিয়ে অর্থবহ হয়।  

সেই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের কাজ করতে হবে। এই সংবিধানকে সুরক্ষিত ও সমন্বিত রাখার ক্ষেত্রে আমাদের সদা সচেতন থাকতে হবে। মুজিববর্ষে জন্মশতবার্ষিকীতের আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে সংবিধানের সুফল আমরা বাংলার সকল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেব।  

এই সংবিধান তখনই স্বার্থক হবে যখন বাংলার মানুষ ক্ষুধা দারিদ্র বঞ্চনা ও বৈষম্য থেকে মুক্ত হয়ে উন্নত জীবন পাবে। সেই লক্ষ্য অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

news24bd.tv নাজিম