অঙ্গদান, এরবিনেরা কোথায় পায় এমন শিক্ষা?

অঙ্গদান, এরবিনেরা কোথায় পায় এমন শিক্ষা?

অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বখ্যাত বিয়ার কোম্পানি গিনেস পরিবারের সদস্য গিনেস-এরবিন। চলতি বছরের জুলাই মাসে এক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন তিনি। তার বয়স হয়েছিলো মাত্র ১৯ বছর।  

নিজেদের বাড়ীর রাজকীয় সুইমিংপুলে স্প্রিং করতে গিয়ে পিছলে গেলে এরবিনের মাথা একটি পাথরের সাথে সাংঘাতিক রকম আঘাত লাগলে এরবিন গুরুতর আহত হয়ে ৬ দিন পরে হাসপাতালে মারা যান।

এরবিন সব সময় বলতেন তিনি মরলে পরে তার শরীরের দরকারী সব অঙ্গ তিনি অসুস্থ মানুষের জন্য দান করে যাবেন। এরবিনের পরিবার এরবিনের ইচ্ছেই পূরণ করেছেন। দান করে দিয়েছেন মানুষের সেবায়।

এরবিনের বিভিন্ন অঙ্গ দান করে দেবার কারণে চারটি মানুষের জীবন মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেছে।

এছাড়া আরো অন্তত দশজন অসুস্থ রোগীদের এরবিনের অঙ্গ দিয়ে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রেহাই দেয়া সম্ভব হবে।

এরবিন বেচেঁ আছেন অন্য মানুষের মাঝে। এমন এরবিনদের শরীরের বিভিন্ন অংশ দিয়ে আমরা এবং আমাদের পরিচিত বহুজন সুস্থভাবে বেঁচে আছি বা আছেন এখন।  

গিনেস বিশ্বের ধনী পরিবারের একটি। যাদের সম্পদের পরিমাণ রয়েছে অন্তত ১,২ মিলিয়ারডেন ফ্রাংক।

মানুষের উপকারে নিজেকে মৃত্যুর পরে ও লাগানো সম্ভব এমন শিক্ষায় তৈরি দৃষ্টিভঙ্গী আজ এরবিনকে বাঁচিয়ে রেখেছে এখন অন্য মানুষের মাঝে। এটাই হলো মানবতা।


আরও পড়ুন: এটা পাকিস্তান নয়, স্বাধীন বাংলাদেশ: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রসঙ্গে হানিফ


এরবিনেরা কোথায় পায় এমন শিক্ষা? কে বা কারা এরবিনদের এমন করে শিক্ষিত বানায়? বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ কেন এমন শিক্ষা অর্জনে রয়ে গেছেন এখনো গভীর অন্ধকারে?

আমার শরীরের বিভিন্ন অংশ কাজে লাগিয়ে,আমার মৃত্যুর পরে চারজন অসুস্থ মানুষ যদি আরো কিছু ‍দিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারে এমন কাজের চেয়ে উত্তম কাজ দুই ভুবনে আর কি ই বা হতে পারে?

নিশ্চিয়ই সৃষ্টিকর্তা এরবিনদেরকে সর্বোচ্চ সম্মানে সম্মানিত করবেন।

news24bd.tv নাজিম