জীবনটা সহজ সরল অংক না। জীবনের সমীকরণটা মেলানো খুব কঠিন। মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক। সবকিছু অনিশ্চিত, গন্তব্যহীন।
যেখানে পলে পলে বদলে যায় সময়, বদলায় মানুষ। একটা ঘটনা মনে পড়লো।বিখ্যাত নর্তকী ইসাডোনা ডানকান একবার জর্জ বার্নার্ডশকে লিখলেন, ‘ভাবুন তো, আপনি আর আমি যদি একটা শিশুর জন্ম দিই, ব্যাপারটা কী চমৎকারই না হবে! সে পাবে আমার রূপ, আর আপনার মতো মেধা। ’
বার্নাড শ’ জবাবে লিখলেন, ‘যদি আমার রূপ আর আপনার মতো মেধা পায়, তবে...?’
পৃথিবীর সবকিছু এমনটাই।
বিখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হকের খেলারাম খেলে যা প্রসঙ্গে কোনো এক জায়গায় বলা হয়েছে, ‘যে তরুণ বা তরুণী অল্প বয়সে এই উপন্যাস পড়ে লজ্জা অনুভব করতেন, তিনিই এখন পরিণত বয়সে এর ভেতরে খুঁজে পান মানবজীবনের গভীর দার্শনিকতা, অস্তিত্বের রহস্যময়তা ও কালস্রোতে কুটোর মতো ভেসে যাওয়া বেদনাহত জীবন। ’ হয়তো সময় মানুষকে বুঝতে শেখায়। সূর্যের কঠিন রোদে পুড়ে মানুষ কল্পনাকে বিদায় জানায়। বাস্তবতার নর্দমায় মুখ থুবড়ে পড়ে। নিজেকে কাঁচের ভাঙা আয়নায় দেখে চমকে ওঠে। চেনা অচেনার হাত ধরে উল্টোপথে হাটতে থাকে।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের অন্যতম শক্তি ব্যবসা-বাণিজ্য: ভারতীয় হাইকমিশনার
যদি কখনো দেখা মেলে নিজের অস্তিত্বের, আঁকড়ে ধরা খড়কুটোর। কারণ জীবন তো থেমে থাকে না। একটার পর একটা মানুষ জন্ম নেয়। এক একটা মানুষের জীবন এক একটা উপন্যাস হয়, ইতিহাস হয়। বইয়ের কালো অক্ষরে তা তো বাঁধা যায় না। সময়ের ঘড়িতে আটকানো যায় না। কিন্তু কোনো একটা অজানা ঠিকানায় গিয়ে থমকে দাঁড়ায়। যে ঠিকানা শুধু যে মানুষটা থমকে দাঁড়ায় সে জানে আর কেউ জানে না। (ফেসবুক থেকে)
news24bd.tv তৌহিদ