সবেচেয়ে বড় শাস্তি আরিনার কান্না

সবেচেয়ে বড় শাস্তি আরিনার কান্না

আসিফ নজরুল

শনিবার আমার করোনা হলো। রোববার অনোরা আর নামীরকে পাঠানো হলো তাদের বাবার বাসায়। আস্থা কয়েকদিন আগে থেকে তার মা-র বাসায়।  

একা হয়ে পড়লো আরিনা।

সে দিনরাত খেলে, ঝগড়া করে আর লেপ্টে থাকে নামীরের সাথে। ফলে তারা চলে যাওয়ার সময় খুব মন খারাপ করলো। একটু পরে জানলো তার নীচে যাওয়াও বন্ধ।  

এটা সে কিছুতেই মানতে রাজী না।

ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদলো অনেকক্ষন। বাসায় আমিও ছিলাম তার নানারকম খেলার সঙ্গী। আমার কাছেও আসতে পারেনা সে আর। দুরে দুরে থেকে আমি তার অসহনীয় কান্না শুনি।  

করোনায় প্রথম চারদিন প্রচন্ড মাথা আর গায়ে ব্যাথা ছিল, গতকাল  পযন্ত স্বাদ আর গন্ধও পেতাম না ঠিকমতো। কিন্তু আমার সবচেয়ে বড় শাস্তি ছিল আরিনার কান্না। সে বুঝলো না কি কারণে তার জীবন এমন অবরুদ্ধ হয়ে উঠলো হঠাৎ।  

যাই হোক আশা করি ভালো হয়ে যাবো দ্রুত। দ্রুত ভালো হওয়ার জন্য যা যা করার করছি। করোনা ভালো হলে মেয়েকে নিয়ে ফুলার রোডের মাঠে যাব। সেখানকার ঘাস, ফুল, মেঘ, আলো, প্রজাপতি, ফড়িং, ধুলো, বাতাস আর ফুটফুটে শিশুদের মেলায় সারাদিন থাকবো।  

আরিনা ছুটে বেড়াচ্ছে সবুজ মাঠে। এ ছবিটা চোখের সামনে রাখি। সেটা আমাকে ছুঁতে হবে দ্রুত।

news24bd.tv কামরুল