পৃথিবী ধ্বংসের দিনক্ষণ জানিয়েছিলেন এই অন্ধ নারী!

রহস্যময়ী নারী বাবা ভ্যাঙ্গা [ছবি: ইউটিউব]

পৃথিবী ধ্বংসের দিনক্ষণ জানিয়েছিলেন এই অন্ধ নারী!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

নস্ত্রাদামুস একা নন, পৃথিবীর ভবিষ্যৎ বলেছিলেন আরও একজন। তবে তিনি নস্ত্রাদামুসের মতো দূর অতীতের বাসিন্দা নন। বাবা ভ্যাঙ্গা নামের এই  রহস্যময়ী নারী বেঁচে ছিলেন বিংশ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত।

বুলগেরিয়ার বাসিন্দা বাবা ভ্যাঙ্গার আসল নাম ভ্যাঙ্গেলিয়া প্যানদেভা দিমিত্রোভা।

তবে বুলগেরিয়াবাসীর কাছে তিনি সবার ‘দাদি’ হিসেবেই পরিচিত। থট রিডিং, অলৌকিক উপায়ে রোগ নিরাময় ইত্যাদি ক্রিয়ার কারণে তিনি খ্যাতি পেয়েছেন।  

১৯১১ সালে মেসেডোনিয়ার স্ট্রুমিকায় জন্ম ভ্যাঙ্গেলিয়ার। বাল্যকালে আর দশটা মেয়ের মতোই সাধারণ ও স্বাভাবিক ছিলেন তিনি।

কিন্তু এক ঘূর্ণিঝড় এসে সব ওলট-পালট করে দেয়। ভ্যাঙ্গেলিয়া স্বয়ং জানিয়েছিলেন, ঝড় তাকে উড়িয়ে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে তাকে পাওয়া যায়। জ্ঞান ফিরতেই তিনি টের পান, তার চোখে কোনও সমস্যা হয়েছে। ক্রমে তিনি সম্পূর্ণভাবে দৃষ্টিশক্তি হারান।  

১৯২৫ সালে ভ্যাঙ্গা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে তিনি পিয়ানো বাজানো, রান্না করা, উল বোনা ইত্যাদিও শেখেন। এই সময় থেকেই তার মধ্যে অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার উদয় দেখা দেয়।  

ভবিষ্যতে কী ঘটতে চলেছে, এমন ঘটনার কথা অবলীলায় বলতে শুরু করেন। অচিরেই তাকে ‘বলকানের নস্ত্রাদামুস’ নামে অভিহিত করা হয়। তার খ্যাতি দ্বিক-বিদ্বিক ছড়িয়ে পড়ে।  

১৯৯৬ সালে বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ‘দাদি’। মৃত্যুর ২২ বছর পরেও তার ভবিষ্যদ্বাণীগুলো নিয়ে বিশ্বজুড়ে চর্চা হচ্ছে।

বাবা ভ্যাঙ্গা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলি করেছিলেন, তার মধ্যে অনেক ঘটনাই মিলে গেছে। পাঠকদের জন্য তার ভবিষ্যদ্বাণীর নির্বাচিত অংশ তুলে ধরা হলো:

♻ বিশ্ব রাজনীতিতে চীনের প্রবল উত্থানের কথা বলে গিয়েছিলেন বাবা ভ্যাঙ্গা। সেই সঙ্গে জানিয়েছিলেন, চীন শুক্র গ্রহে নতুন কোনও শক্তির উৎস খুঁজে বের করবে।

♻ ২০১৮ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সঙ্কটের মধ্যে পড়বে। তার কারণ হবে দেশটির প্রেসিডেন্ট! 

♻ ২০২৮ সালে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সঙ্কট দেখা দেবে, এমন কথাও তিনি বলেছিলেন।  

♻ বাবা ভ্যাঙ্গার মতে, ২০১৬ সাল থেকে ইউরোপের রদ ঘটবে। ব্রেক্সিটের কথা মাথায় রাখলে একথা অস্বীকার করা যাবে না।

♻ ইসলামি শক্তির দ্বারা ইউরোপ বিপন্ন হয়ে পড়বে। সিরিয়ায় ইসলামি শক্তিগুলি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে।

♻ একবিংশ শতাব্দীর কোনো এক সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্প হবে।  এতে প্রাণ হারাবে লক্ষাধিক মানুষ।

♻ ২০৪৩ সালের মধ্যে রোম একটি মুসলিম নগরীতে পরিণতি পাবে। সেখানে প্রতিষ্ঠিত হবে খিলাফতের শাসন।

♻ ২১৩০ সালের মধ্যে মানুষ পানির নিচে বসবাসের বন্দোবস্ত করে ফেলবে।

♻ ২০৪৫ সালের মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর বিশাল বরফখণ্ড গলতে শুরু করবে। পৃথিবী তখন অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে।

♻  ২০৭৬ সালে ইউরোপে কমিউনিজম আবার মাথা চাড়া দেবে এবং তার প্রভাব পড়বে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও।  

♻  ৩৭৯৭ সাল নাগাদ পৃথিবীর ধ্বংস অনিবার্য। কিন্তু ততদিনে মানুষ এক নক্ষত্রলোকের সন্ধান পাবে। সেই স্থানেই গড়ে উঠবে পৃথিবীর উপনিবেশ।  

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর