ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ী ইউনিয়নের নতুন পাড়া গ্রামের মর্জিনা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধার মাটির তৈরি একমাত্র ঘরটি ভেঙে পড়েছে। আপাতত তিনি অন্যের বাড়ির বারান্দায় রাত্রিযাপন করছেন। একটা বিধবা ভাতা কার্ডের জন্য জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে হতাশ বৃদ্ধা মর্জিনা।
জানা যায়, উপজেলার নতুন পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত বারেক উদ্দীনের স্ত্রী বৃদ্ধা মর্জিনা বেগম ১০ বছর আগে স্বামীকে হারিয়ে তার ঠাঁই হয় একমাত্র ছেলে আলম হোসেনে কাছে।
কিন্তু করোনার কারনে কাজ হারিয়ে খাবার জোটানোই কঠিন হয়ে পড়েছে আলমের। অন্যদিকে বৃদ্ধা মর্জিনার মাটির ঘরটিও ভেঙে যায়। তাই তিনি অন্যের বাড়ির বারান্দায় রাত্রিযাপন করেন।মর্জিনা বেগম বলেন, স্বামীর মৃত্যুর ১০ বছরেও বিধবা ভাতা কিংবা বয়স্ক ভাতার কার্ড জোটেনি কপালে।
স্থানীয়রা জানান, বৃদ্ধার স্বামী মারা গেছেন প্রায় অনেক বছর আগে। ৭০ বছর বয়সী অসুস্থ বৃদ্ধাকে ছেলে ও তার স্ত্রী একটু দেখাশোনা করেন। বেশির ভাগ সময়ই খেয়ে না খেয়ে কাটে তার দিন। তার পরেও পেতেন না বয়স্ক ভাতা কিংবা বিধবা ভাতা। মর্জিনা বেগমের আকুতি জীবনের সায়াহ্নে এ সময়ে একটি ঘর নির্মাণে সহযোগিতায় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো এগিয়ে আসবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মহেন বলেন, মহিলাটিকে আমি চিনি ১০ বছর আগে তার স্বামী মারা যায়। এবার বৃষ্টির কারণে তার ঘরটিও ভেঙে যায়। দেখি আগামীতে কার্ড করে দেওয়া যায় কিনা। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান বনি আমিন বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখব।
news24bd.tv তৌহিদ