‘ভ্যাকসিন এলো বলে’ ভাবনটাটা আমাদের যেনো দু:সাহসী করে না ফেলে

‘ভ্যাকসিন এলো বলে’ ভাবনটাটা আমাদের যেনো দু:সাহসী করে না ফেলে

অনলাইন ডেস্ক

‘ল্যাব বেঞ্চ থেকে আপনার বেডরুমের  অনেক দুরত্ব’ – কানাডার ডালহৌসি ইউনিভার্সিটির গবেষক ভাইরোলোজিস্ট অ্যালিসন ক্যালভিনের প্রতিক্রিয়া এটি।  

কোভিডের বহুল প্রত্যাশিত ভ্যাকসিন কখন থেকে পাওয়া যাবে- এমন প্রশ্নে এটি তার উত্তর। তা হলে পুরো সপ্তাহ ধরে এতো যে উল্লাস, এতো যে হৈ চৈ তা কি এমনি এমনি! 

এই বিশেষজ্ঞ বলছেন, এখন পর্যন্ত যে সব তথ্য আছে সেগুলোর সবই প্রাথমিক পর্যায়ের।
’ভ্যাকসিন এলো বলে’- এমন বার্তা রটে যাবার পর পশ্চিমা শেয়ারবাজারে উলম্ফন ঘটেছে, মিডিয়ায় আশাবাদী সব খবর বেরিয়েছে, রাজনীতিকরা নতুন করে সাফল্য আর প্রতিশ্রুতির ‘প্যারেড’ করেছেন।

কিন্তু বাস্তবতা! 

অ্যালিসন মনে করিয়ে দিচ্ছেন- প্রেস রিলিজে পাওয়া বিজ্ঞানের তথ্যের ব্যাপারে  তার বেশ খানিকটা ’উসখুস’ আছে। তার মত, প্রাপ্ত সব তথ্যই একেবারে প্রাথমিক।   

যুক্তরাষ্ট্রে জরুরী ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য আবেদনেও বলা হয়েছে- ‘পিয়ার রিভিউ এখনো হয়নি, সেটা তারা দ্রুতই সম্পন্ন করবেন। ’ ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালও করতে হবে।

ফাইজার এবং মডার্না- দুটো ভ্যাকসিনই একজন নাগরিককে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ডোজ নিতে হবে। এখন পর্যন্ত ব্যবহার বিধি সম্পর্কে এইটুকু তথ্য আছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে কোন দেশের কি পরিমান ভ্যাকসিন লাগবে- তার একটা আন্দাজ করা যায়।  

তবে ‘ভ্যাকসিন এলো বলে’- স্বপ্নে যারা বিভোর আছেন- তাদের সেই স্বপ্নে খানিকটা রাশ টানা ভালো। ‘ভ্যাকসিন এলো বলে’ ভাবনটাটা আমাদের যেনো দু:সাহসী করে না ফেলে- সে জন্যই এই রাশ টানাটা জরুরী।

শওগাত আলী সাগর, প্রধান সম্পাদক , নতুন দেশ , কানাডা।

news24bd.tv নাজিম