বাংলাদেশ থেকে কানাডায় অর্থ পাচার নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। এবারের আলোচনার সূত্রপাত ঘটিয়েছেন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এক বছর আগে টরন্টোয় আমরা অর্থপাচারের বিরুদ্ধে একটি সামাজিক আন্দোলন শুরু করেছিলাম। সেই সময় এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে কেউ কোনো বক্তব্য দেয়নি।
এবার সরকার নিজে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য নিয়ে হাজির হয়েছে। সরকারের এই অবস্থানকে আমরা স্বাগত জানাই, অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের সকল পদক্ষেপের প্রতি আমাদের সমর্থন থাকবে।‘লুটেরা রুখো স্বদেশ বাঁচাও’শ্লোগান দিয়ে টরন্টোয় বসবাসরত বাংলাদেশি কানাডীয়ানদের পক্ষ থেকে আমরা বলেছিলাম - বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে টাকা পয়সা লুট করে কিংবা দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ নিয়ে পৃথিবীর অন্য গোলার্ধে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করা যাবে - এই ধারণাটি যে ঠিক নয় - এমন একটি বার্তা দিতেই আমরা আন্দোলন করছি। সে সময় আমরা বলেছিলাম, কানাডা বাংলাদেশের লুটেরা, দুর্নীতিবাজদের অভয়ারন্য হতে পারে না।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাসে ‘কর্মীরা না থাকলে আমি কে!’
একটা বিষয় পরিষ্কার করি। সরকারি কর্মকর্তা না কি রাজনীতিবিদ না কি ব্যবসায়ী- কারা বেশি অর্থ পাচার করে- সেই বিতর্কের অংশিদার আমরা হবো না। সব লুটেরা এবং অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধেই আমাদের প্রতিবাদ। আমরা চাইবো, সরকার বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠিন অবস্থান নেবে।
শওগাত আলী সাগর, প্রধান সম্পাদক, নতুনদেশ, কানাডা।
news24bd.tv আহমেদ