পুলিশের ভেতরে মাদকবিরোধী শুদ্ধি অভিযান

পুলিশের ভেতরে মাদকবিরোধী শুদ্ধি অভিযান

আশিকুর রহমান শ্রাবণ

সন্দেহ হলেই টেস্ট আর প্রমাণ পেলেই শাস্তি, এই নীতি নিয়ে পুলিশ বাহিনীর ভেতরে চলছে, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। যার প্রমাণ হিসেবে, ১০ জনকে চাকরিচ্যুত আর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, ১৮ জনকে।  

পুলিশ হেডকোয়ার্টার বলছে, পর্যায়ক্রমে সবপর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের এই প্রক্রিয়ায় আনা হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, উদ্যোগ ভালো কিন্তু নিরপেক্ষ ও নির্মোহভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

 

জনগণের বন্ধু ও রক্ষক পুলিশের কিছু বিপথগামী সদস্য, মাদক কারবারে জড়িয়ে বিভিন্ন সময়, গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। মাদক চোরাচালান করতে গিয়ে, নিজ বাহিনীর সদস্যের হাতেই ধরা পড়ছেন তারা। এই বাস্তবতায়, দীর্ঘ দিন ধরেই বাহিনীর ভেতরে শুদ্ধি অভিযানের কথা শোনা যাচ্ছিল। সে ধারাবাহিকতায়, মাদক সেবন প্রমাণ সাপেক্ষে, পুলিশের ১০ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

সাময়িক বরখাস্ত হয়েছে আরো ১৮ জন।  


আরও পড়ুন: আসছে দুটি বিসিএস


ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ৭ জন এস আই, ৫ জন এ এস আই, ৫ নায়েক, ৫০ কনস্টেবল এবং একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট। পুলিশ হেডকোয়ার্টার বলছে, মাদক সংশ্লিষ্ট হলেও শাস্তি পেতে হবে।  

দেরিতে হলেও, পুলিশ বাহিনীর ভেতরে মাদক বিরোধী এমন শুদ্ধি অভিযানকে, ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন, বিশ্লেষকরা।

তারা বলছেন, বিভাগীয় ব্যবস্থাই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন ফৌজদারি শাস্তি।  মাদক দিয়ে ফাঁসানো, বিক্রি এবং উদ্ধার করা মাদক কম দেখিয়ে টাকা নেয়ার বিষয়ে, পুলিশের আরও ২৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

news24bd.tv নাজিম