এই জীবনে দীর্ঘতর বেদনার দুটো রাতে আমি কেঁদেছিলাম পাখির মতো মুখে খড় গুঁজে, নিঃশব্দে।
প্রথম রাত কেঁদেছিলাম নিমাই ভট্টাচার্যের মেমসাহেব পড়ে, ছোটবেলায় মা বোন কারোই স্নেহ না পাওয়া রিপোর্টার বাচ্চুর জন্য, আমি তখন সেভেনে পড়ি। আহ্ মেমসাহেব! আহ্ বাচ্চু!!
"যারা কাছে আছে তারা কাছে থাক,
তারা তো পারে না জানিতে
তাহাদের চেয়ে তুমি কাছে আছো
আমার হৃদয়খানিতে”
দ্বিতীয় বেদনার রাত এসেছিলো নব্বই এর বিশ্বকাপ ফাইনালের রাতে। আমি তখন এইটে পড়ি।
পশ্চিম জার্মানির কাছে ফাইনাল হারার পরে ম্যারাডোনাকে মাঠে হাঁটু মুড়ে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে চোখের জল ফেলতে দেখে সেই প্রথম জপতে শিখেছিলাম “দিয়াগো মারাদোনা”, মাই হিরো ইন মাই হার্ট!!আজ এতগুলো বছর পরে আবারও দীর্ঘ বেদনার একটি রাত এলো, সেই ম্যারাদোনার হাত ধরেই। আমার গোপন ভালোবাসা চলে গেলেন নিরবে। ৬০ বছর কী এমন দীর্ঘ মনে হলো এই পাগলামী করে কাটিয়ে দেওয়া জীবনটার মালিকের? কীসের এতো তাড়া?
এই বছরটা কি আমাকে পুরো নিঃস্ব না করে দিয়ে যাবে না ?
(সাদিয়া নাসরিন, উন্নয়ন কর্মী)
এই বিভাগের সব লেখার আইনগত ও অন্যান্য সব দায় লেখকের। মতামত লেখকের নিজস্ব, সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়।
news24bd.tv তৌহিদ