ভারতের মুম্বাই শহরের ভয়াবহ জঙ্গি হামলা এখনো তাড়িয়ে বেড়ায় সেদিনের প্রত্যক্ষাদর্শীসহ স্বজনহারাদের। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর বিখ্যাত তাজ হোটেলসহ আরো ১২টি স্থানে একযোগে হামলা চালায় পাকিস্তানি সন্ত্রাসীরা।
কেড়ে নিয়েছিলো দেশি-বিদেশিসহ ১৬৪ জন নিরপরাধ মানুষের প্রাণ। ভারতের ইতিহাসে ভয়াবহতম এই হামলার ঘটনার আজ এক যুগ পাড় হলেও, এখনো সেই ভয়াবহ হামলার সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার হয়নি।
২৬ নভেম্বর রাত ৮টায় ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইতে, পাকিস্তান থেকে স্পিডবোটে করে আসে ১০ জঙ্গী। প্রথম হামলাটি চালায় ছত্রপতি শিবাজি রেলওয়ে স্টেশনে।
আরও পড়ুন: চিফ হুইপের নামে ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা
এরপর কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে একে একে তাজ হোটেল, লিওপোল্ড ক্যাফে, ওবরয় ট্রাইডেন্ট, নরিম্যান হাউজে স্বশস্ত্র হামলার পাশাপাশি ২টি ট্যাক্সিতে টাইমবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
ভয়াবহ এই সন্ত্রাসী হামলায় সেদিন প্রাণ হারিয়েছিলো ৩০ জন বিদেশিসহ ১৬৪ জন।
ভয়াবহ এই হামলার ঘটনায় সারাবিশ্বের নজর ছিলো তখন টিভির পর্দায়। এই হামলার ঘটনাকে সরেজমিনে কাভার করেছিলেন দেশি-বিদেশি সাংবাদিক।
তাদেরই একজন মৃতুঞ্জয় বোস। হামলার সময় আজমল কাশাব নামে এক জঙ্গি ধরা পড়ে, যার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় ২০১২ সালে। কাশাবের কাছ থেকেই এই হামলায় জড়িতদের সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছিলো।
হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাসহ জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তাইয়্যেবার জড়িত থাকার অভিযোগ থাকলেও এখনো তারা রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০০৯ সাল থেকে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে মামলা হলেও, আজ পযন্ত কাউকে বিচারের আওতায় আনতে পারেনি দেশটি।
পাকিস্তানে এই মামলার কোন বিচার না হলেও, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ২৬/১১ দিবটি সন্ত্রাসবিরোধী এক দিবস হিসেবে ক্রমশই পরিচিত হয়ে উঠছে।
news24bd.tv নাজিম