ধলেশ্বরী নদীর পশ্চিম তীরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলী বাজার সংলগ্ন এলাকায় গড়ে ওঠা অবৈধ ডকইয়ার্ড ও ১০টি ইটভাটার অবৈধ স্থাপনা ও বাঁশের পাইলিংসহ ৩৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এ সময় কমপক্ষে নদীর ৩ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া নদীর তীর ভরাট করে সেখানে নির্মিত বিপুল পরিমাণ ইট বিনষ্ট করে দেওয়া হয়। তবে এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ইটভাটার মালিকরা।
তারা বলছেন এভাবে কোটি কোটি টাকার তৈরীকৃত ইট ও চুল্লী ধ্বংস করে ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত করা মোটেই ঠিক হচ্ছে না।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ'র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব জামিলের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, সহকারী পরিচালক মো. নূর হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আমাদের উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে।
তিনি আরও জানান, বক্তাবলী এলাকায় ইটভাটার মালিকরা বাঁশের পাইলিং এর মাধ্যমে ভাঙ্গাচোরা ইট ফেলে নদী দখল করে আসছে। যে কারণে আমরা এসকল বাঁশের পাইলিং ভেঙ্গে দিয়েছি। যাতে নদী নিজেই তার জায়গা বৃদ্ধি করে নিতে পারে। নদীর তীর দখল ও ভরাট করে ইটভাটার যেসকল অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছিল সেগুলোও ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানা ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ও থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শওকত আলী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, বিআইডব্লিউটিএর আইনের শেষ নেই। তারা নদীর তীর দখলমুক্ত করতে চাইলে আমরা সাহায্য করব। নদী তীর চিহ্নিত করে দিক আমরা সেখান থেকে সরে আসব। তবে এভাবে কোটি কোটি টাকার তৈরীকৃত ইট ও চুল্লী ধ্বংস করে ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত করা মোটেই ঠিক হচ্ছে না।
news24bd.tv কামরুল