বাঁচতে চাইলে মেনে চলুন

বাঁচতে চাইলে মেনে চলুন

আনোয়ার সাদী

এই মুহূর্তে মানুষের হাতে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোনো কার্যেকর টিকা নেই। কেউ কেউ বলছেন, আগামী বছরের মাঝামাঝি বাংলাদেশের মানুষের হাতের নাগালে করোনা ভাইরাসের টিকা চলে আসবে। কেউ বলছেন ফেব্রুয়ারির দিকে টিকা পা্ওয়া যাবে। কিন্তু একটি কথা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

টিকা হাতের নাগালে আসা মানেই দেশে থেকে করোনা ভাইরাস উধাও হয়ে যাওয়া নয়।  

একযোগে দেশের ১৭ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব না। সময় লাগবে। তিন কোটি ডোজ প্রথম প্রজন্মের টিকা হাতে পা্ওয়া গেলেও তা শরীরে নিতে পারবেন দেড় কোটি মানুষ।

কাজেই সরকারকে অপ্রিয় কিন্তু কঠোর একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সেটি হলো কে টিকা পাবে, কে পাবে না।  

ধরা যাক কোনো টিকা শতকরা ৯৫ ভাগ কর্যরকর ঘোষণা করা হলো। তার মানে হলো টিকা নেওয়ার পরও একশো জনের মধ্যে ৫ জন আক্রান্ত হবে। সেই পাঁচজন কে হবে তা জনা সম্ভব না।

তাহলে আমি কী সবাইকে হতাশ হতে বলছি? তা নয়। সংক্রমনের চেইন ভেঙে দেওয়ার জন্য টিকার অবশ্যই দরকার আছে। কিন্তু সেই টিকা সত্যিই কার্যমকর কী না তা সবার আগে দেখতে হবে। টিকা কোনো পার্শ্বপতিক্রিয়া তৈরি করছে কী না তাও দেখতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা টিকা সাধারণের নাগালে আছে কী না তাও দেখতে হবে।

তাহলে আমাদের বাঁচার উপায় কী? টিকাই কী আমাদেরকে এই অতিমারি থেকে বাঁচিয়ে দেবে? এটি এখন একটি কোটি টাকা দামের প্রশ্ন।  

এখন আমাদেরকে আরো বেশি সকর্ত থাকতে হবে। সতর্ক হয়ে মাত্র তিনটি কাজ করতে হবে। এক. মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যাতে একের  ড্রপলেট বা মিহি জলকনা অন্যের নাকে মুখে বা চোখে ঢুকে না যায়। দুই. ৬ ফিট ব্যবধান রাখতে হবে। যেনো অন্যের হাঁচি কাশি আমাদেরকে কাবু করে ফেলতে না পারে। ৬ ফিট দূরত্ব বজায় রাখা না গেলেও অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এবং তিন. হাত না ধুয়ে নাক মুখ চোখে হাত দেওয়া যাবে না।  

টিকা চলে এলেই এই সাবধানতা মানা শেষ নয়। শুনতে খারাপ লাগলেও বলতে হয় এই সাবধানতা এখন আমাদের জীবনের অংশ করে রাখতে হবে। তাহলেই আমরা নিজেদেরকে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত রাখতে পারবো। তা নাহলে খবর খারাপই হওয়ার কথা।

৬ গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে বিয়ের আসরে স্বামী!

অল্প একটু চেষ্টার অভাবে পৃথিবীতে অনেক মহৎ কাজ হয় না। অল্প একটু ধৈর্যের অভাবে পৃথিবীতে অনেক কাজের জন্য অনেকেই চেষ্টা ছেড়ে দেন। বাংলাদেশে বেশ কয়েকমাস ধরেই করোনা ভাইরাস আছে। ধৈর্যয হারিয়ে আমরা যেন এই ভাইরাসকে পাকাপোক্তভাবে দেশে রেখে দেওয়ার ব্যবস্থা না করি। সেটাই এখন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হওয়া উচিত।  
     
কাজেই সচেতন হয়ে নিজে করোনা ভাইরাস মুক্ত থকুন, আপনার পাশের জনকেও মুক্ত রাখুন।  

আনোয়ার সাদী, সিনিয়র নিউজ এডিটর, নিউজটোয়েন্টিফোর।

news24bd.tv তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর