দোকান কর্মচারী মনির কীভাবে দেড় হাজার কোটি টাকার মালিক

দোকান কর্মচারী মনির কীভাবে দেড় হাজার কোটি টাকার মালিক

ফখরুল ইসলাম

দুই যুগ আগের দোকান কর্মচারী মনির আজ দেড় হাজার কোটি টাকার মালিক। সোনা চোরাচালান আর, আর রাজউকের নথি জালিয়াতি করে গড়েছেন সম্পদের সম্রাজ্য। গোল্ডেন মনির নামে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় হয়ে উঠেন অপরাধ জগতের মাফিয়া।  

বাড্ডায় প্রসাদসম বাড়ির মালিক মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনির।

আলাদিনের রূপকথার চেরাগকেও হার মানায় তার সম্পদের সম্রাজ্য। এই বাড্ডায় একজন মনিরেরই আছে বড় বাজার, অবৈধ সম্পদ দখল করে গড়া স্কুল, কয়েক বিঘার উপরে বিশাল মাঠ। আর গাড়ীর গ্যারেজ, বাগানবাড়ি, নির্মাণাধীন বাড়ী,  শতাধিক প্লট। ডিআইটি প্রজেক্টে এর সব হাতিয়েছেন রাজউক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশে নথি জালিয়াতি করে।

news24bd.tv

শুধু বাড্ডাতেই সীমাবদ্ধ নয়, পূর্বাচল, বারিধারায় ২০ কাঠার প্লট, উত্তরা, নিকুঞ্জ, কেরাণীগঞ্জে হাতিয়ে নিয়েছেন আরো বেশ কয়েকটি প্লট। উত্তরায় মালিকানা আছে জমজম শপিং সেন্টারের। হয়েছেন হাউজিং কোম্পানীর মালিকও।


আরও পড়ুন: দুবাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত


আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অনুসন্ধানে উঠে আসে তার ২৫টি একাউন্টে ৯৩০ কোটি ২২ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য। পাওয়া যায় নগদ ৫৪২ কোটি টাকা। সোনা চোরাকারবারি মনির ব্যাংক থেকেও নিয়েছে ১১০ কোটি টাকার লোন।

news24bd.tv

দুদক, অনুসন্ধানে ৬১০ কোটি টাকার সম্পদের ইতোমধ্যে খোঁজ পেয়েছে। ১১ বছর আগে তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেছিল দুর্নীতি বিরোধী প্রতিষ্ঠানটি। রাজউকের ২শর বেশি প্লট বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগে তদন্তে নেমেছে প্রতিষ্ঠানটি।

news24bd.tv

অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সোনা চোরাকারবারি গোল্ডেন মনিরের গডফাদার কমিশনার সোনার শফির নাম। তার হাত ধরেই সোনা চোরাচালানে উত্থান ঘটে অপরাধ জগতের নতুন এই অধিপতির। যদি এই সোনা শফিও এখন মালয়েশিয়ায় পলাতক। শোরুম দিয়ে করেছেন গাড়ীর ব্যবসাও। বায়তুল মোকাররমে আছে স্বর্ণের ব্যাবসা। বিদেশেও পাচার করেছেন শত কোটি টাকা।

অভিযোগ আছে মালয়েশিয়ায় পলাতক বাড্ডার সাবেক কমিশনার কাইয়ুমের অর্থের যোগানদাতা এই গোল্ডেন মুনির। তার বাড়িতে অভিযানে ৮ কেজি স্বর্ণ নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা, ৯ লাখ টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করে র্যা ব।

news24bd.tv নাজিম