চুরি নয়, নবজাতকটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মা-বাবা

চুরি নয়, নবজাতকটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মা-বাবা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাওয়ালখালীতে দিনদুপুরে চুরি হওয়া নবজাতক শিশু সোহানের মৃতদেহ ৩৬ ঘন্টা পর বাড়ির বাথরুমের ট্যাংকি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

শুক্রবার রাত একটার দিকে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে। এদিকে, পরিকল্পিতভাবে নবজাতকটিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় মায়ের পাশ থেকে নবজাতকটি চুরি হয়ে গেছে বলে প্রচার দেয় নবজাতকটির মা ফাতেমা বেগম।

এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন তার বাবা সোহাগ হোসেন।

আরও পড়ুন:


করোনা ভাইরাসের উৎস চীন নয়, বরং ভারত বা বাংলাদেশ

‘আব্বা আল্লাহর বাড়ি গেছোইন, আমরার লাগি পোলাও লইয়া আইবা’


এদিকে, শুক্রবার সকালে সদর থানা পুলিশ ও পিবিআই পৃথকভাবে চুরি হওয়া শিশুটি উদ্ধারে কাজ শুরু করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেনকে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে সেফটি ট্যাংকের ভিতর থেকে নবজাতকটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার হাওয়ালখালি গ্রামের সোহাগ হোসেন ও ফতেমা দম্পত্তি। তাদের ১৫ দিনের নবজাতক মায়ের পাশ থেকে বৃহস্পতিবার বিকালে চুরি হয়ে গেছে বলে প্রচার করা হয়। ঘটনার পরপরই তদন্ত কাজ শুরু করে পুলিশ। কয়েক দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়।

তিনি বলেন, নবজাতকের বাবা ও মায়ের স্বীকারোক্তি মতে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর সেফটি ট্যাংকের ভিতর থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূলত শিশুটির বাবার চাপে মা শিশুটিকে হত্যা করে সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেয়।

হত্যার কারণ হিসেবে তারা বলছেন, শিশুটি জন্মের পর থেকে অসুস্থ। হার্ড, কিডনিতে সমস্যা। এই বাচ্ছাকে রেখে বড় করতে গেলে নিজেরাই অসুবিধায় পড়বেন ভেবে পরিকল্পিতভাবে বাবা ও মা দুজন মিলে তাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

news24bd.tv কামরুল