পাল্টাপাল্টি রাষ্ট্রদূত বহিষ্কারে উত্তপ্ত মন্টেনিগ্রো-সার্বিয়া

পাল্টাপাল্টি রাষ্ট্রদূত বহিষ্কারে উত্তপ্ত মন্টেনিগ্রো-সার্বিয়া

অনলাইন ডেস্ক

পাল্টাপাল্টি রাষ্ট্রদূত বহিষ্কার করল মন্টেনিগ্রো এবং সার্বিয়া। দীর্ঘদিন ধরে দেশের অভ্যন্তরীণে ইস্যুতে নাক গলানোয় সার্বিয়ান রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করা হয়েছে জানান মন্টেনিগ্রোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।  

তাৎক্ষণিক জবাবে মন্টেনিগ্রোর রাষ্ট্রদূতকেও বরখাস্ত করেছে সার্ভিয়া। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশী বলকান রাষ্ট্রের মধ্যে চরম কূটনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে।


আরও পড়ুন: পুনর্গণনায় উইসকনসিনেও ভোট বাড়ল বাইডেনের


মন্টেনিগ্রোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে দেশের সার্বভৌমত্ব অবমাননা করে আসছিল সার্বিয়ার রাষ্ট্রদূত। সীমা লঙ্ঘন করেই অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করায় শনিবার (২৮ নভেম্বর) সার্বিয়ান রাষ্ট্রদূত ভ্লাদিমির বোজোভিককে বহিষ্কার করা হয়।  

এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সার্বিয়ায় নিযুক্ত মন্টেনিগ্রোর রাষ্ট্রদূত তারজান মিলোসেভিককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বহিষ্কার করে। সার্বিয়ার পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আঘাতে বদলে আঘাত’।

পাল্টাপাল্টি রাষ্ট্রদূত বহিষ্কারে বিরোধপূর্ণ এই দুই রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কে আরও অবনতি হল। একসময় সার্বিয়া-মন্টেনিগ্রো একই রাষ্ট্র ছিল। পরে ২০০৬ সালে আলাদা হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করে মন্টেনিগ্রো।

তবে স্বাধীনতার পরেও দেশটির অভ্যন্তরীণ বিরোধ মেটেনি, বরং তা আরও তীব্র হয়। একপক্ষ অর্থোডক্স খ্রিস্টান মিত্র রাশিয়া ও সার্বিয়ার ঘনিষ্ঠ থেকে যায়, আরেক পক্ষ পশ্চিমা দেশগুলোর দিকে ঝুঁকে পড়ে।

মন্টেনিগ্রোর প্রেসিডেন্ট মিলো জুকানোভিক টানা ৩০ বছর ধরে দেশ শাসন করছেন। তবে গত আগস্টে নির্বাচনে সার্বপন্থি জোটের কাছে হেরে গেছে তার পশ্চিমাপন্থি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি।

news24bd.tv কামরুল