সৌদি আরবে সম্প্রতি আলোচনার তুঙ্গে কাফালা প্রথা শিথিল বা কফিলের একক ক্ষমতার সমাপ্তি। শ্রম আইন সংস্কার এবং কাফালা প্রথা, সৌদি আরবের মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের, জাতীয় রূপান্তর কর্মসূচি- এনটিপির অধীনে একটি শ্রম আইন সংস্কার উদ্যোগ-এলআরআই চালু করেছে।
বিশ্ব-বাজারে সৌদি শ্রম-বাজার আকর্ষণীয় করে তুলতে এবং দেশটিতে বসবাসরত শ্রমিকদের জীবন-মান উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা এখানে বলা হয়েছে। যদি তা কার্যকর হয় তাহলে প্রবাসে বাংলাদেশি শ্রমিকরা এর একটা সুবিধা নিতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরবে বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে সাত দশকের বিতর্কিত কফিল বা কাফালা প্রথা। যা কার্যকর হবে আগামী বছরের প্রথম ছয় মাসেই। এতে সুফল পবেন সৌদিতে বসবাসরত প্রায় ১ কোটি প্রবাসী শ্রমিক।
দীর্ঘ সমালোচিত এই কর্মসংস্থান ব্যবস্থা বাতিলের পর কোনো ব্যক্তি নয়, প্রবাসীদের অভিভাবক হবে সেদেশের শ্রম মন্ত্রণালয়।
সৌদি আরব প্রায় ৭০ বছর ধরে চলমান কাফালা প্রথা বিলুপ্ত করার পেছনে অনেক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে। মূলত তেল নির্ভর দেশ থেকে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন, সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন, ট্যুরিজম সেক্টরকে প্রোমোট করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি সরকার। চলতি বছর নভেম্বেরের মাঝামাঝি সময় সৌদি সরকার নতুন - ট্রানজিট ভিসা সেবা চালু করেছে যার মাধ্যমে উল্লেখিত দেশের নাগরিকগন সৌদি আরবে অন এরাভাইল ভিসা পাবেন এবং ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত সৌদি আরবে ট্রানজিট নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: মেসির হলুদ কার্ড প্রত্যাহার চান রেফারিই
এই প্রথা বাতিলের পর প্রবাসীরা সরাসরি শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলে যাবেন। ফলে প্রবাসীর অর্থ লোপাট এবং অবৈধ হবার সম্ভাবনা নেমে আসবে প্রায় শূন্যের কোঠায়। নিয়োগকারী এবং প্রবাসী শ্রমিকদের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে।
কাফালা প্রথা বা কফিল প্রথা-কোনো একজন ব্যক্তির অধীনে বিদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ উঠে যাবে জানিয়েছে সৌদি সরকার। এতে সৌদতে কর্মরত লাখ লাখ বাংলাদেশির জন্য বিরাট সুখবর।
news24bd.tv আহমেদ