শিশুটিকে হত্যার পর বিভিন্ন অঙ্গ কেটে এসিডে ঝলসে দেওয়া হয়

শিশুটিকে হত্যার পর বিভিন্ন অঙ্গ কেটে এসিডে ঝলসে দেওয়া হয়

৩ জ‌নের ফাঁসি, একজ‌নের কারাদণ্ড
দিলীপ কুমার মন্ডল, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগ‌ঞ্জে ৫ বছরের শিশু সোয়াইব হোসেন হত্যা মামলার সাত বছর পর তিন আসামির ফাঁসি ও একজনকে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

৩০ নভেম্বর সোমবার দুপুরে নারায়ণগ‌ঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক শেখ রাজিয়া সুলতানার আদালত এ আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জসিম উদ্দিন, রাজু মিয়া ও ফজল হক। ১০ বছরের সাজা প্রাপ্ত আসামি নাছির উদ্দিন।

বাকি রিনা, মোশরফ হোসেন, আ. রহিম, আ. সালামকে খালাশের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান।

গত ৯ নভেম্বর শিশু সোয়াইব হোসেন হত্যাকাণ্ডের রায় দেওয়ার কথা থাকলেও রায়ের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৫ নভেম্বর ধার্য্য করা হয়েছে।

পরে আবারও তারিখ পিছিয়ে ৩০ নভেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সোনারগাঁ উপজেলার মঙ্গলবার গাঁও এলাকারস্থানীয় শান্তিনগর দারুন নাজাত নূরানী মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র সোয়াইব হোসেন নিখোঁজ হন। এ ঘটনার ৬ দিন পর একটি নির্মাণাধীন ভবনের পাশ থেকে গলাকাটা লাশ, ঝলসে দেওয়া সোয়াইব হোসেনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় সোয়াইবের বাবা মাসুম মিয়া তার ছেলেকে অপহরণের পর হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোশরফ হোসেন, রাজু মিয়া, ফজল হক, জসিম উদ্দিন, শিরসতালী, নাছির উদ্দিন, আলী আহাম্মদ ও রিনা বেগমসহ ১৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তখন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ মোশারফ হোসেন, রাজু মিয়া, নাছির উদ্দিন, ফজল মিয়া, সিরাসতালী ও আলী আহাম্মদসহ আরো কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে ছিল।

ওই সময় আসামিরা নারায়ণগঞ্জে জৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম চাদনী রুপমের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে আসামিরা জানায়, নারী ঘটিত একটি কারণে শিশু সোয়াইব হোসেনকে অপহরণের পর শিশুটিকে প্রথমে  গলা কেটে হত্যা করে পরে তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কাটা হয় এবং এসিড দিয়ে পুরো শরীর ঝলছে দেয়।

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর