রক্তে চর্বি বাড়ে কেন

রক্তে চর্বি বাড়ে কেন

অনলাইন ডেস্ক

চর্বিকে ইংরেজিতে বলা হয় ফ্যাট। এ ফ্যাটকে মেডিকেলের পরিভাষায় বলা হয় লিপিড। আমাদের দেহের রক্তের মধ্যে অনেক উপাদান রয়েছে, যার মধ্যে লিপিড (চর্বি) একটি অন্যতম উপাদান এবং শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক।

লিপিডের মৌলিক উপাদান ৪টি।

এ উপাদানগুলো রক্তের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে থাকে। যদি কোনো কারণে যে কোনো একটি উপাদান বেশি অথবা কম হয়, তখন-ই তাকে বলে ডিসলিপিডেমিয়া। মোটা মানুষের শরীরে চর্বি বা মেদ বেশি- এটি সত্য। তাই বলে মোটা হলেই যে তার শরীরে লিপিড বেশি থাকবে- এটি সঠিক নয়।

পক্ষান্তরে স্বাভাবিকের তুলনায় কম ওজনের মানুষও ডিসলিপিডেমিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। অর্থাৎ লিপিডের পরিমাণ বেশি থাকতে পারে। অনেকের চোখের উপরের পাতা বা নিচের পাতায় চর্বি জমে ফুলে থাকে, একে বলা হয় জ্যানথেলঅ্যাজমা। রক্ত পরীক্ষা করলে তাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি পাওয়া যায়।

ডিসলিপিডেমিয়ার সঠিক কারণ আজও জানা যায়নি। জেনেটিক, বংশগত বা পারিবারিক কারণে রক্তে লিপিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে। কিছু রোগের কারণে যেমন- হাইপোথাইরয়ডিজম, কুশিংসিন্ড্রম, লিভার ও কিডনির বেশ কিছু রোগ, ডায়াবেটিস, দীর্ঘমেয়াদি স্টেরয়েড ওষুধ সেবন, জন্মবিরতিকরণ পিল সেবন, হরমোন থেরাপি, বেশি ক্যালোরিযুক্ত খাদ্য, চর্বিদার লাল মাংস (গরু, খাসি, হরিণ, ভেড়া ও মহিষ), মদ, সফট ড্রিংক্স, শর্করাজাতীয় খাদ্য, ভাত ও আলু ইত্যাদি বেশি খাওয়া হলে রক্তে লিপিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে।

এগুলো ছাড়াও বিষণ্নতাপ্রতিরোধী ওষুধ, মানসিক রোগের ওষুধ সেবনের কারণ, সর্বোপরি অকর্মণ্য জীবনযাপন, বসে-শুয়ে থাকার কারণেও ডিসলিপিডেমিয়া হতে পারে। ভাত ও আলু ট্রাইগ্লিসারাইড বৃদ্ধি করে।


আরও পড়ুন: ভেজিটেবল চপ রেসিপি


যুক্তরাজ্যে খাদ্য তালিকায় শর্করা ৪৮ ভাগ, আমিষ ১৭ ভাগ এবং চর্বি ১৫ ভাগ গ্রহণ করা হয়ে থাকে। আদর্শ খাদ্য তালিকায় শর্করা ৫০ ভাগ, আমিষ ১৭ ভাগ এবং চর্বি ৩৩ ভাগ হওয়া বাঞ্ছনীয়।

পশ্চিমা বিশ্বে বা উন্নত বিশ্বে ওবেসিটি অর্থ- সমস্ত শরীর ফুলে যাওয়া। আমাদের দেশে ওবেসিটি অর্থ- পেট মোটা হয়ে যাওয়া। এটিকে বলা হয় সেন্ট্রাল ওবেসিটি, যা সুস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আমাদের দেশে যার মূল কারণ শর্করাজাতীয় খাদ্য বেশি খাওয়া।

news24bd.tv নাজিম