মুজদালিফায় একটি চশমার গল্প

মুজদালিফায় একটি চশমার গল্প

জসিম মল্লিক

চোখে যে চশমাটা পড়ে আছি সেটার একটা ঘটনা ঘটেছিল। সেটা বলি। সে রাতে আরাফাতের ময়দান থেকে গেলাম মুজদালিফায়। সেখানে রাত কাটাতে হবে।

প্রত্যেকে যে যার মতো বিছানা পেতেছে। কেউ শুয়ে পড়েছে, কেউ বসে আছে, কেউ ঘুমিয়ে গেছে, কেউবা ইবাদত করছে।  

মুজদালিফা থেকেই পাথর সংগ্রহ করতে হয় বড়, মাঝারি ও ছোট শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য। পাথর সংগ্রহ শেষ হয়েছে।

খাওয়া দাওয়ারও অঢেল আয়োজন আছে। রাতে আমার খিদা পায়। কিছু হালকা খাবার রেখেছি মাথার কাছে। পঁচিশ লক্ষ হাজ্জি এক ময়দানে। এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। রাতের মায়াবী আলো আর লক্ষ লক্ষ নারী পুরষের জমায়েতে এক পারলৌকিক দৃশ্যের অবতরনা হয়েছে।  

জাগতিক কোনো কিছু মাথায় নেই। সংসার, সন্তান, বন্ধু, আত্মীয় ছাপিয়ে এক অজানা জগতের প্রতি নিবেদন চলছে। আমি আমার চশমাটা খুলে মাথার কাছে রেখে শুয়েছি। হঠাৎ বিশালাকায় একজন মানুষ আমার উপর দিয়ে যেতে গিয়ে চশমাটা মারিয়ে গেলেন। মচ করে শব্দ হলো যেনো। আমি আঁতকে উঠলাম। হায় আল্লাহ এখন কি হবে। চশমা ছাড়া কিছু তো দেখতে পাব না! ব্যাকআপ চশমাও নাই সাথে।


আরও পড়ুন: সে দিন শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর মৃত্যুর সংবাদ যেন বজ্রাঘাত ছিলো


রাতের ধোঁয়াশা আলোয় আমি চশমা হাতড়ে বেড়াচ্ছি। হঠাৎ ফ্রেমটা পেয়ে গেলাম। Ferragamo frame। দেখি একটা গ্লাস নাই। ফ্রেম এবং একটা গ্লাস ঠিকঠাক আছে। এ রকম বিশাল এক মানুষের পায়ের চাপে গুড়ো গুড়ো হয়ে যাওয়ার কথা। একটু পর অন্য গ্লাসটাও খুঁজে পেলাম। ভাঙ্গেনি! আশ্চর্য্য তো! আরো অবাক কান্ড নিমিষেই গ্লাসটা সেট হয়ে গেলো। মনেই হয়নি একজন চশমার উপর দিয়ে হেঁটে গেছে।

news24bd.tv আহমেদ

সম্পর্কিত খবর