ভাস্কর্য একটি দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির অংশ। প্রতিটি দেশের আবিষ্কৃত বিভিন্ন ভাস্কর্য থেকেই এর অতীত ইতিহাস,সমৃদ্ধ সংস্কৃতির অনেকটা আঁচ করা যায়। পৃথিবীতে বহু আগে থেকেই ভাস্কর্য শিল্পের বিকাশ।
আজো দেশে দেশে ভাস্কর্য তৈরি হচ্ছে নিপুণ সৃষ্টিশীলতায়।
কারণ এর মাধ্যমে প্রতিটি দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি-সংস্কৃতির গৌরব বহন করে চলেছে।পশ্চিমাদের মতো সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, মিশর, ইরান, পাকিস্তানের মতো দেশও ভাস্কর্য শিল্পে পিছিয়ে নেই।
মুসলিম প্রধানদেশ পাকিস্তানেই বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের ভাস্কর্য রয়েছে। দেশটির লাহোরে জাতির জনক মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর ভাস্কর্য দাঁড়িয়ে আছে।
২০০৭ সালের ২৭ জানুয়ারি এক আত্নঘাতি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার পর নির্মাণ করা হয় বেনজির ভুট্টোর এই স্টেচুটি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতেও রয়েছে রাজসিক কিছু ভাস্কর্য। রাজধানী দুবাইয়ে জ্বলজ্বল করছে দেশটির সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুতের ভাস্কর্যটি।
২০১৫-র সেপ্টেম্বরে ৩৩ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। তার স্মৃতি ধরে রাখতেই দুবাইয়ে নির্মাণ করা হয় তাঁর এই ভাস্কর্যটি। ইরানেরও রয়েছে এরকম বেশ কয়েকটি উদাহরণ।
দেশটির তাবরিজ শহরে ব্লু মসজিদের সামনে ইতিহাস, সাহিত্যের গৌরব বজায় রাখতে নির্মাণ করা হয়েছে পারস্য কবি খাকানির মূর্তি।
শুধু কবি খাকানি নয়, পারস্যের বিখ্যাত কবি আবুল কাশেম ফেরদৌসিও ভাস্কর্য রয়েছে রাজধানী তেহরানের ফেরদৌসি স্কয়ারে।
এসব ছাড়াও এরকম আরো অসংখ্য ভাস্কর্য অোছে ইরাক, ইন্দানেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ সুমলিম দেশে।
মুসলিম বিশ্বও ভাস্কর্য শিল্প থেকে পৃথক নয়। খোদ সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, মিশর, ইরান, ইরাকসহ প্রায় সকল মুসলিম দেশেই রয়েছে ভাস্কর্য।
news24bd.tv নাজিম