হল খুললেও নেই নতুন সিনেমা, বিদেশি ছবি আমদানির দাবি

হল খুললেও নেই নতুন সিনেমা, বিদেশি ছবি আমদানির দাবি

ফাতেমা কাউসার

সিনেমা হল আছে কিন্তু সিনেমা নেই। করোনা বাস্তবতায় দীর্ঘ সাত মাস পর প্রেক্ষাগৃহ খুললেও মিলেনি সিনেমার দেখা। এমন বাস্তবতায় হল টিকিয়ে রাখতে ভারতীয় সিনেমা আমদানির দাবি প্রদর্শক সমিতির নেতাদের। অপেক্ষা শুধু সরকারি অনুমতির।

কিন্তু সরকার অনুমতি দিলেই কি বলিউড সিনেমা প্রদর্শন করা যাবে? কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহ?

করোনায় দীর্ঘ বিরতির পর গেল ১৬ অক্টোবর খুলে দেশের প্রায় অর্ধ শতাধিক সিনেমাহল। কিন্তু মুক্তি পায়নি কোনো বড় বাজেটের সিনেমা। লোকসানের কথা মাথায় রেখে প্রযোজকরাও নারাজ নতুন সিনেমা মুক্তি দিতে। ফলে বন্ধের পথে প্রায় সব প্রেক্ষাগৃহ।

news24bd.tv

এই যখন বাস্তবতা তখন হল বাঁচাতে প্রদর্শক সমিতির পক্ষ থেকে বছরে দশটি করে বলিউড সিনেমা আমদানির প্রস্তাব দেওয়া হয় তথ্য মন্ত্রণালয়ে।

news24bd.tv

প্রথমে ভারতীয় সিনেমার বিপক্ষে থাকলেও বর্তমান সংকট দূর করতে এখন টালিউড-বলিউড মুভি দেশের হলগুলোতে চালানোর পক্ষে প্রযোজক শিল্পী কিংবা পরিচালকরা।


আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলার সক্ষমতা বৃদ্ধি কেবল মুখেই, নেই পর্যাপ্ত আইসিইউ


তবে ডিসিপি ফরম্যাটে আসা বলিউড সিনেমা দেখাতে প্রয়োজন উন্নতমানের প্রক্ষেপণ সিস্টেম, সাউন্ড চ্যানেল। আর তাই অনুমতি মিললেও সারাদেশের হলগুলো কি পারবে বলিউড সিনেমা প্রদর্শন করতে?

news24bd.tv

এমন প্রশ্নের জবাবে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশিদ জানান, শহরের চেয়ে হলের দর্শক গ্রাম এলাকায় বেশি। এ অবস্থায় বিদেশি সিনেমা চালানোর মতো সক্ষমতা নেই তাদের। বেশির ভাগ হলগুলোই চলে পেনড্রাইভের মাধ্যমে। তাই পেনড্রাইভ ফরম্যাটে ছবি না পেলে বিদেশি ছবি চালানোর সিদ্ধান্তের আগে হলগুলো সংস্কার প্রয়োজন।

বাংলা সিনেমার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আমদানি সিনেমা কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখবে তা সময় বলে দিবে।

news24bd.tv আহমেদ