ফাইজার প্রথম এরপর কে?

ফাইজার প্রথম এরপর কে?

নিবিড় আমীন

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিনটি ব্যাপকহারে প্রয়োগের জন্য অনুমোদন দিলো যুক্তরাজ্য। ভ্যাকসিনটি ৯৫ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করছে দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এমএইচআরএ।

১৫ ডিসেম্বরেই বিতরণ হচ্ছে ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম চালান। অপারেশনের ওয়ার্প স্পিডের বরাতে এমনটাই তথ্য দিয়েছে সিএনএন।

এদিকে, ভারতে আস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে মিলে ভ্যাকসিনটির আরও পূর্ণ দুটি ডোজের ট্রায়াল অব্যাহত রাখবে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া।

অন্যদিকে, আগামী বসন্তেই ব্যাপকহারে করোনা টিকাদানের কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে ফ্রান্স।  

অবশেষে বিশ্বে এই প্রথম ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিনটি সর্বত্র ব্যাবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য। করোনা থেকে ৯৫ শতাংশ সুরক্ষা দেবে এই ভ্যাকসিন, এমনটাই দাবি করেছে ব্রিটিশ রোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমএইচআরএ।

এরইমধ্যে টিকাটির ৪ কোটি ডোজের ক্রয়ের আবেদন করেছে বরিস প্রশাসন। যা প্রয়োগ করা যাবে দুই কোটি মানুষকে।  


আরও পড়ুন: মার্কিন প্রেসিডেন্টর ক্ষমা পেতে ঘুষ, তদন্ত শুরু


চলতি মাসের ১৫ তারিখেই হবে মার্কিন ওষুধ কোম্পানি ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম চালানের বিতরণ। আর মডার্নার প্রথম চালান বিতরণ হবে ২২ ডিসেম্বর। মঙ্গলবার অপারেশন ওয়ার্প স্পিড থেকে পাওয়া এক নথির বরাতে এ তথ্য দিয়েছে সিএনএন। প্রথম চালানের টিকা নার্সিংহোম ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে আগে পাঠানো উচিত, এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের একদল স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। ফ্লোরিডার একটি স্বা্স্থ্য সেবা কেন্দ্র শুরু করেছে টিকা বিতরণের প্রস্তুতি।

পূর্ণ ডোজ দুবার প্রয়োগ হলে ৬২ শতাংশ কার্যকারিতা দেখালেও, আস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটির দুটি পূর্ণ ডোজের ট্রায়াল ভারতে অব্যাহত রাখবে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। রাশিয়ার স্পুটনিক ফাইভ ভ্যাকসিনটি মঙ্গলবার মস্কো থেকে নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছে। ফলে ভারতে শুরু হয়েছে রুশ টিকাটির ট্রায়ালও। তবে সংক্রমণ বন্ধ করা গেলে পুরো ভারতকে টিকা দেয়ার প্রয়োজন পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন সরকারি কর্মকর্তারা।


আরও পড়ুন: ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকাকে জাতীয়ভাবে ব্যহারের অনুমতি যুক্তরাজ্যের


আগামী বছরের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যেই ব্যাপক পরিসরে করোনা টিকাদান কর্মসূচির জন্য প্রস্তুত হবে ফ্রান্স, মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো।

তিনি বলেন, এরইমধ্যে টিকার ডোজগুলো সংরক্ষন করেছি আমরা। সেই সাথে ইউরোপে সেগুলো উৎপাদন করার ধারণক্ষমতাও সংরক্ষন করা হয়েছে আমাদের।

তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে অংশ নেয়া ১৬ দেশকে পরবর্তী কয়েক মাসে কোটি কোটি ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে বিশাল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে চীন। শেনজেন বিমানবন্দরে টিকা সংরক্ষণাগারও প্রস্তুত করা হয়েছে। পুরো এলাকা ঢাকা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। দেশগুলোকে মূলত প্রথম লটের টিকা দেবে দেশটি। বাংলাদেশও এই তালিকায় থাকতে পারতো। কিন্তু তহবিল সংক্রান্ত সমঝোতায় না আসতে পারায় ট্রায়াল হয়নি ঢাকায়।

news24bd.tv নাজিম