সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকার পাহাড়

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকার পাহাড়

আশিকুর রহমান শ্রাবণ

সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের টাকার পাহাড় বেড়েই চলেছে। এছাড়া, অর্থপাচারের নতুন গন্তব্য হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কানাড়া ও অস্ট্রেলিয়া।

পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন দেশে পাচার হচ্ছে। যা দিয়ে প্রতিবছর দুটি পদ্মা সেতু বানানো সম্ভব।

বিশ্লেষকরা বলছেন, জিরো টলারেন্স নীতি শুধু কাগুজে বাঘ হয়েই আছে।

সাথে আছে, কর্তৃপক্ষের গাফিলতি আর সীমাহীন দুর্নীতি।

সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক। অর্থপাচার প্রসঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানে নাম বাংলাদেশে বহুল উচ্চারিত।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরের হিসেবে, এই ব্যাংকে বাংলাদেশিদের রক্ষিত টাকার পরিমান ৫ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা।

পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশিদের আগ্রহ এখন সুইস ব্যাংক থেকে সরে যাচ্ছে অন্যান্য দেশে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেখা গেছে, অর্থ পাচারের নতুন গন্তব্য এখন, সিঙ্গাপুর, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়া।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিনানন্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি-জিএফআইয়ের হিসেবে, বাংলাদেশ থেকে গেলো সাত বছরে ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি বছর পাচার হয় প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকা। যে টাকা দিয়ে, দুটি পদ্মাসেতু বানানো সম্ভব।

টিআইবি বলছে, প্রভাবশালী অর্থপাচারকারীদের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি শুধুই কাগুজে বাঘ।

কুকুরের সঙ্গে খেলে পায়ের দুই হাড় ভেঙে বিপাকে বাইডেন

পাচারচক্রে দেশি-বিদেশি দুটি পক্ষই আছে। যারা ট্যাক্স-হেভেন খ্যাত লুক্সেমবার্গ, কেম্যান আইল্যান্ড, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, পানামা কিংবা বারমুডার মতো দ্বীপরাষ্ট্রেও টাকা পাচার করছে। কীভাবে এই পাচারের গতিরোধ করা সম্ভব? টাকা কি ফিরিয়ে আনারও উপায় আছে?

দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী, এই পক্ষের সবপর্যায় সত্যিকার অর্থেই তৎপর হলে অর্থপাচারের গতিরোধ সম্ভব-বলছেন বিশ্লেষকরা।

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর