আগামি শুক্রবার থেকে শুরু হতে পারে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর। এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছে। তবে প্রথম ধাপে ঠিক কতজনকে নেয়া হবে সেটি এখনো নিশ্চিত না। এদিকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত করা হয়নি অভিযোগ তুলে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ।
মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়ার তিন বছর পেরিয়েছে আগেই। আন্তর্জাতিক মহলের মায়া-কান্না কিংবা মিয়ানমারের প্রতিশ্রুতি- বাস্তবে কোনকিছূই কাজে আসেনি। শুরু হয়নি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। বরং তিন বছরে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে কক্সবাজারের আর্থ-সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশ।
রোহিঙ্গাদের জন্য পাকা দালানকোঠা, রাস্তাঘাট, সাইক্লোন সেন্টার, হাসপাতাল, বিদ্যুৎসেবা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার ও জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থাসহ যাবতীয় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রস্তুত ভাসানচর। নিজ চোখে সে-সব দেখে সন্তুষ্ট দেশীয় এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিরা।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে শিগগির ভাসানচরে নেয়া হবে প্রথম ধাপের রোহিঙ্গাদের।
রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত না করার অভিযোগ তুলে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। স্বেচ্ছায় যেতে চাওয়া রোহিঙ্গাদের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। আর ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত বলেন- স্থানান্তর প্রক্রিয়া অবশ্যই হতে হবে স্বেচ্ছায়।
মাকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করল ছেলে
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের বিষয়ে গেল সেপ্টেম্বরে সরকার ৪০ রোহিঙ্গাকে ভাসানচর দেখাতে নিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় তারা সেখানে থাকতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও কক্সবাজার ক্যাম্পে ফিরে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় ভিন্ন অভিমত দেয়।
news24bd.tv তৌহিদ