ফিরোজায় ভালো নেই খালেদা জিয়া

ফিরোজায় ভালো নেই খালেদা জিয়া

মারুফা রহমান

গুলশান এভিনিউয়ের ফিরোজায় কেমন আছেন ৭৪ বছর ঊর্ধ্ব বেগম খালেদা জিয়া? এমন প্রশ্ন দলীয় নেতা-কর্মীর পাশাপাশি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদেরও। সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়া বিএনপি-প্রধান এখন দৃশ্যমান রাজনীতিতে নেই। বক্তৃতা-বিবৃতি দিতেও মানা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর।  

সিনিয়র নেতারা জানান, নয় মাস ধরে বাসায় নিঃসঙ্গ খালেদা জিয়ার হাঁটাচলায় সাহায্য নিতে হয়, প্রতিদিনই পরীক্ষা করতে হয়, রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের।

এদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পাঠানোর উদ্যোগও আছে স্থগিত।

দুর্নীতি মামলায় কারাভোগ করতে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শর্তসাপেক্ষে মুক্তিলাভের পর এখন দিন পার করছেন রাজধানীর গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজায়। কিন্তু কেমন আছেন তিনি? করোনাভাইরাসে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় শুধু ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যরাই তাঁর সঙ্গে নিয়মিত দেখা সাক্ষাৎ করছেন। প্রয়োজনে দলের কাউকে ডেকে পাঠান বিএনপি-প্রধান নিজেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানান, চিকিৎসকরা যান সুগার অথবা প্রেশার মাপার জন্য। নেত্রীর মূল যে সমস্যা সেটার চিকিৎসাই মূলত হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

পারিবারিক ও দলের সিনিয়র নেতারা বলছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। অস্টিও আর্থাইটিস, ডায়াবেটিসসহ অন্য সব রোগই বিদ্যমান। এখনো চলাফেরায় অন্যের সাহায্য নিতে হয়। ব্যথা কমেনি শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে। বাসায় দুজন নার্স স্থায়ীভাবে রাখা হয়েছে। তারা বাসায় থেকেই বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন এবং ফিজিওথেরাপি দিচ্ছেন। এ ছাড়া তাঁর মেরুদন্ড-, বাম হাত ও ঘাড়ের দিকে শক্ত হয়ে যায়। দুই হাঁটুও প্রতিস্থাপন করা। তিনি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ খান। বাম চোখেও একটু সমস্যা রয়েছে তাঁর।

দলের নেতারা বলছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য বেগম জিয়াকে, বিদেশে নেয়া দরকার। তবে এ বিষয়ে এখনও সম্মতি জানাননি, খোদ খালেদা জিয়া আর সরকার, দুপক্ষই।


আরও পড়ুন: অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু শনিবার থেকে


বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিদেশে যাওয়া নিয়ে দলের পক্ষ থেকে কোন আবেদন বা চেষ্টা করা হয়নি। কারণ দল যানে তার পরিবারের পক্ষ থেকেই সব ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আর দেশনেত্রীও যেতে চান কি না সেটিও একটি বিষয়।  

বিএনপির নীতি-নির্ধারণী ফোরামের একাংশ বলছেন, শর্তসাপেক্ষে মুক্তি নিয়ে খালেদা জিয়া বিদেশ যেতে চান না। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েই বিএনপি প্রধান যেতে চান দেশের বাইরে।

news24bd.tv আহমেদ