'মধুদা'র ভাস্কর্যের কান ভাঙ্গা, রাতেই মেরামত

'মধুদা'র ভাস্কর্যের কান ভাঙ্গা, রাতেই মেরামত

অনলাইন ডেস্ক

ছাত্র রাজনীতির আতুরঘর খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের পাশে স্থাপিত মধুদার আবক্ষ ভাস্কর্যের বাম পাশের কান বুধবার সন্ধ্যায় ভাঙ্গা অবস্থায় পাওয়া যায়। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবহিত হলে মধ্যরাতেই সেটি মেরামত করা হয়। তবে এটি কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ঘটিয়েছে কিনা- এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কেউই কিছু জানাতে পারেনি।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, “এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নাকি অসাবধানতাবশত ভেঙেছে আমরা নিশ্চিত নই।

প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে যদি কারো কাছে কোনো তথ্য থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেওয়ার অনুরোধ করছি। ”

আরও পড়ুন:


নবীনগরে যুবলীগ ও হেফাজতে ইসলাম মুখোমুখি, পরিস্থিতি উত্তপ্ত

৭০০ বছরের পুরোনো পরিত্যক্ত মসজিদে ফের আজান ও নামাজ শুরু

হযরত ইদ্রিস (আঃ)-এর সখের মৃত্যু ও বেহেশতে গমন


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যমণ্ডিত ভাস্কর্যটিকে সম্মান জানানো এবং সংরক্ষণ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী।

মধুর ক্যানটিনের একজন কর্মচারী জানিয়েছেন, বুধবার রাত ৮টার দিকে তারা মধুদার ভাস্কর্যের কান ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে প্রক্টরকে বিষয়টি জানান তারা।

রাত নয়টার পর প্রক্টরিয়াল টিম ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় ভাস্কর্যের ভেঙে ফেলা অংশ লাগানো হয়।   

ছাত্র আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত মধুর ক্যানটিনের প্রতিষ্ঠাতা মধুসূদন দে। তিনি ‘মধুদা’ নামে পরিচিত ছিলেন।  

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল থেকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। মধুসূদন দে’র স্মৃতির স্মরণে তার নামেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের সামনে অবস্থিত রেস্তোরাঁটির নামকরণ করা হয় ‘মধুর ক্যানটিন’।

ভাস্কর্যটি মধুর ক্যানটিনের একটি দরজার পাশেই অবস্থিত। ভাস্কর তৌফিক হোসেন খান এটি নির্মাণ করেন। ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য এমাজউদ্দিন আহমদ ভাস্কর্যটির প্রথম উদ্বোধন করেন। বর্তমান অবস্থানে ভাস্কর্যটি পুনর্নির্মাণের পর ২০০১ সালে এটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন উপাচার্য এ কে আজাদ চৌধুরী।

news24bd.tv কামরুল