পাকিস্তানের করাচিতে নতুন করে স্থাপিত ‘কে-২’ পরমাণু স্থাপনার চুল্লিতে জ্বালানী ঢোকানোর কাজ শুরু করেছে দেশটির পরমাণু শক্তি কমিশন। এই স্থাপনা থেকে ১১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইসলামাবাদ থেকে বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে এই পরমাণু স্থাপনা থেকে পুরোদমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরু হবে। তবে তার আগে পরীক্ষামূলকভাবে জ্বালানী ঢোকানোর কাজ শুরু করল দেশটির পরমাণু শক্তি কমিশন।
কমিশনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, পাকিস্তানের এটমিক রেগুলেটরি অথোরিটির অনুমতিপত্র পাওয়ার পর তারা পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে হাত দিয়েছেন।
তিনি বলেন, কে-২ পরমাণু স্থাপনা মূলত একটি ভারী পানির রিঅ্যাক্টর যেটি চীনা এইচপিআর-১০০০ প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার জ্বালানী ঢোকানোর সময় পদস্থ চীনা ও পাকিস্তানি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পাকিস্তানের পরমাণু শক্তি কমিশন সেদেশে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের মারাত্মক ঘাটতি পূরণ করতে এগিয়ে এসেছে।
পাকিস্তানের অর্থনীতির প্রাণ করাচির বিদ্যুৎ ঘাটতিকে আপাতত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেটানোর উদ্যোগ নিয়েছে ইসলামাবাদ। বর্তমানে করাচি শহরে সারাদিনে কয়েকবার লোডশেডিং হয় এবং কয়েক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকে না। এর ফলে ওই নগরীর শিল্প-কারখানার উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
পাকিস্তানে ‘কে-৩’ নামের আরেকটি পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে যেটি থেকে ২০২১ সালের শেষ নাগাদ বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরু করা যাবে বলে সেদেশের পরমাণু শক্তি কমিশন জানিয়েছে।
news24bd.tv আহমেদ