১৬৪২ রোহিঙ্গা নিয়ে ভাসানচরে নৌ-বাহিনীর ৮ জাহাজ

অনলাইন ডেস্ক

প্রস্তুত নৌবাহিনীর আটটি জাহাজসহ মোট ১৯ টি জলযান। আগেই কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রাম বোটক্লাবে এসে জড়ো হয়েছিলেন রোহিঙ্গারা। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ দলে দলে নির্ধারিত জাহাজে উঠতে থাকেন তারা।

সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সকাল সাড়ে ১০ টায় ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে রোহিঙ্গাদের বহনকারী জাহাজগুলো।

পুরো পথে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় নৌবাহিনীর সাথে ছিলো সেনাবাহিনীর নৌযান- ‘শক্তি সঞ্চার’। বিশাল বহরে ছিলো কোস্টগার্ড, র‌্যাব এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।

স্বেচ্ছায় আসা এই রোহিঙ্গারা ভাসানচরে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখলেও যত দ্রুত সম্ভব নিজ দেশেই ফিরে যেতে চান।

প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা সাগরে ভেসে অবশেষে ভাসানচরে পৌঁছান প্রথম ধাপে আসা এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা।

তাদের স্বাগত জানান নৌবাহিনীসহ এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিরা।

পরে রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি বিশাল ওয়্যার হাইজে নিজেদের ভবিষ্যত কল্যাণ কামনার দোয়া মোনাজাত করেন রোহিঙ্গারা।

 দোয়া মোনাজাত শেষে নতুন ঠিকানায় ছোটেন রোহিঙ্গারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিবার পরিজন নিয়ে নির্ধারিত ঘর-বাড়িতে ওঠেন তারা। দালানবাড়ি পেয়ে বেশিরভাগ রোহিঙ্গাদের মধ্যেই ছিলো উচ্ছ্বাস।

প্রকল্প পরিচালক জানান, এরইমধ্যে রোহিঙ্গার জন্য খাদ্য মজুদ রাখা, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ সব ধরনের মৌলিক সেবা দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে বেশকিছু দেশীয় এনজিও সংস্থা।

কমোডর আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী আরো জানান, পাকা দালানঘর, ড্রেনেজ সিস্টেম, বায়োগ্যাস, সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সুবিধা, মোবাইল নেটওয়ার্ক- সবকিছুই তৈরি হয়েছে রোহিঙ্গাদের জন্য। নিজ দেশে ফিরে না যাওয়া পযর্ন্ত সাময়িক জীবিকা নির্বাহেরও সুযোগ পাবেন মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি।

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর