২ মামলায় আদালতে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, পেছাল শুনানি

২ মামলায় আদালতে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, পেছাল শুনানি

অনলাইন ডেস্ক

আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে কারাগারে থাকা জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে দুর্নীতি ও আয়কর ফাঁকির পৃথক দুই মামলায় আজ সোমবার আদালতে হাজির করা হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একটি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরেকটি মামলার শুনানি পিছিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারস্থ আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক সৈয়দা হোসনে আরার আদালতে দুর্নীতির মামলায় চার্জ শুনানির এবং ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে আয়কর ফাঁকির মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এ দিন চার্জ শুনানির জন্য প্রস্তুত নয় জানিয়ে সময় আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

শুনানি শেষে আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির তারিখ আগামী ২৮ ডিসেম্বর ধার্য করেন। আর আয়কর ফাঁকির মামলায় সাক্ষী আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় সময় আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিক উদ্দীন (বাচ্চু)। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ৬ জানুয়ারি ধার্য করেন।

আয়কর ফাঁকির মামলায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী একমাত্র আসামি।

অর্থ আত্মসাতের মামলায় দেলোওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ছয় জন আসামি রয়েছেন। অপর পাঁচ আসামি হলেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল হক, মসজিদ কাউন্সিল ফর কমিউনিটি এডভান্সমেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বন্ধুজন পরিষদের প্রধান সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুস, ইসলামী সমাজ কল্যাণ কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ কাউন্সিলের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হক।

আসামিদের মধ্যে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদন্ডের আদেশ নিয়ে বর্তমানে করাগারে রয়েছেন। আবুল কালাম আজাদ এবং আব্দুল হক পলাতক রয়েছেন। অপর তিন আসামি জামিনে রয়েছেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) আইয়ুব আলী চৌধুরী ২০১০ সালের ২৪ মে শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যাকাত বোর্ডের ১ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার  টাকা এবং ২০০৪-০৫ অর্থ বছরের ১৩ লাখ টাকাসহ যাকাত তহবিলের মোট ১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার দেশের ৬৪ জেলায় গরিব ও দুস্থদের না দিয়ে নিজেদের দলীয় প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ করে আত্মসাত করেন। উক্ত অর্থের মধ্যে সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশারেফ হোসেন শাহজাহান জাতীয় বন্ধুজন পরিষদ ভোলার অনুকুলে ৫০ লাখ, কাঠালিয়া মুসলিম এ.কে. ইনষ্টিটিউটের অনুকুলে ৬ লাখ ৫০ হাজার, মাওলানা আবুল কালাম আজাদের মসজিদ কাউন্সিল ফর কামউনিটি এডভান্সমেন্টের অনুকুলে ৪৫ লাখ, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির তৎকালীন সভাপতি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ইসলামী সমাজ কল্যাণ কেন্দ্র পিরোজপুরের অনুকুলে ৫ লাখ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুতফুল হকের দারুল কারার সোসাইটি, শরিয়তপুরের অনুকুলে ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করেন। মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

আরও পড়ুন: ‘ভাস্কর্যের বিরোধিতা আর বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতা এক নয়’, লিখে বহিষ্কার নেতা

এদিকে, ২ কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার ১২০ টাকা আয় গোপন করে তার ওপর প্রযোজ্য কর ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮১২ টাকা কর ফাঁকির অভিযোগে ২০১১ সালের ১৯ আগষ্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পরের বছর ১৫ সেপ্টেম্বর মামলাটি সাঈদীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত।

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর