পদ্মা সেতু শুধুমাত্র দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে দুরত্ব কমাবে না বরং শিল্প-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রসার ঘটাবে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এর ফলে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে এক দশমিক দুই শতাংশ। যার মধ্য দিয়ে বাড়বে কর্মসংস্থান, কমবে দারিদ্রতা।
অন্যদিকে-মেগা প্রকল্প বিশেষজ্ঞদের মতে -নিজস্ব অর্থায়নের পদ্মা সেতু বাংলাদেশের কাছে আত্মবিশ্বাসের নাম।
যা অন্য বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে সাহস জোগাচ্ছে।গত ৬ বছরে গ্রাফিক্স এনিমেশনের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর কল্পিত যে চেহারা দেখানো হয়েছিল আজ তা অতীত। কারণ দেখতে দেখতে স্বপ্নের সেতু এখন বাস্তবে এমনই স্পষ্ট। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে ৪২ খুটির ওপর দাঁড়িয়ে স্বপের সেতু।
৪২টি পিলার আর ৪১টি স্প্যান মিলিয়েই ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের বহু কাঙ্খিত পদ্মা সেতু। করোনার মধ্যে বন্যা- দুই ধাক্কা কাটিয়েও ২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্প শেষের লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে কাজ। যার সবশেষ ৪১ তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে বাস্তবায়নের একেবারেই কাছাকাছি দেশের দীর্ঘতম এই সেতু।
আরও পড়ুন: স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন পুরোপুরি দৃশ্যমান
পদ্মা সেতু শুধু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াবে না, শিল্প-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আনবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। জাইকার সমীক্ষা বলছে-এই সেতুর মাধ্যমে প্রতিদিন ২১ হাজার ৩০০ যানবাহন চলাচল করবে। যার পরিমান ২০২৫ সালে গিয়ে দাঁড়াবে ৪১ হাজার ৬০০তে। এসবের মধ্য দিয়ে দেশের জিডিপি বাড়বে ১ দশমিক ২ শতাংশ।
সবচেয়ে-বড় বিষয় পদ্মা সেতু বাংলাদেশকে বড় বড় প্রকল্প গ্রহন এবং বাস্তবায়নের আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে-এর ফলে মেগা প্রকল্পে দাতাগোষ্ঠীর নির্ভরশীলতা থেকে কিছুটা হলেও বেরিয়ে আসছে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতায় নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নানা ষড়যন্ত্রকে পেছনে ফেলে ৩০ হাজার কোটি টাকার এই সেতুর ওপর দিয়ে একই সঙ্গে চলবে ট্রেনও।
news24bd.tv আহমেদ