আজ স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণের ৫ বছর। নির্মাণযজ্ঞের এই সময়ে সেতু প্রায় সোয়া ৬ কিলোমিটার সুপার স্ট্রাকচারে দাঁড়িয়ে যুক্ত করেছে নদীর দু পাড়কে। অর্থায়ন বাতিল, দুর্নীতির অভিযোগ, সমালোচনা সর্বোপরি নদীর আগ্রাসন জটিলতা মোকাবেলা করেই সবচেয়ে গভীরতম পাইলিংয়ে সেতু নির্মাণ এখন শেষ দিকে।
রোড ও রেলপথের বাকি কিছু কাজ আর নদী শাসন শেষ হলেই বছর নাগাদ খুলে দেয়ার জোর সম্ভাবনা দেখছেন প্রকল্পের পরিচালক।
পদ্মার আগ্রাসী রূপ, কত মানুষের জীবনই না তছনছ করেছে। বিচ্ছিন্ন বঞ্চিত করেছে দক্ষিণ পশ্চিমের জনপদকে। তবুও মানুষ স্বপ্ন দেখেছে পদ্মায় সেতু গড়ার।
স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে চেষ্টার শুরু ২০১১ সালে।
স্বপ্ন ছিল অদম্য। তাই প্রতিকুলতা পেছনে ফেলে চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিজ অর্থায়নেই নির্মাণ শুরু। ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণ কাজ উদ্বোধনের পর বিশ্বের গভীরতম ১২২ মিটার পাইলিংয়ের উপর স্বপ্নের শুরু। এরপর ২০২০ এর ১২ ডিসেম্বর। এই পাঁচ বছরে ঝড় জলোচ্ছ্বাস পদ্মা আর বর্ষার চোখরাঙ্গানি অতিক্রম করে বিশ্বের বুকে সফল মাইলফেলকের গর্বিত অংশিদার বাংলাদেশ।
এই সেতু ৪২ পিয়ারের উপর ৪১টি সুপার স্ট্রাকচার সোয়া ৬ দশমিক কিলোমিটারে দুপাড়কে এখন যুক্ত করেছে দৃশ্যমান বাস্তবতায়। মেইন ব্রিজ শেষ ৯১ শতাংশ, নদী শাসন ৭৬ সবমিলিয়ে ৮২ ভাগ সফলতায় দাঁড়িয়ে সেতু।
এজন্য তিন দফায় বরাদ্দ ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকায় খরচ ২৪ হাজার কোটি। বাধা আর নেই। শুধু অপেক্ষা খুলে দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা। স্বপ্নজয়ে সারথি চার হাজারের বেশি শ্রমিক প্রকৌশলী আর নির্মা্তা প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রীজ ও সিনোহাইড্রো দুটি কোম্পানী।
এই বাস্তবতায় অবাক বিশ্বে আনন্দে মাতোয়ারা দক্ষিণের ২১ জেলার ৩ কোটি মানুষ। সেই সাথে স্বপ্ন উঁকি দেয় নতুন অর্থনীতি, জীবনযাত্রা আর সমৃদ্ধির।
আরও পড়ুন:
পদ্মা সেতু পারাপারে সম্ভাব্য টোল নির্ধারণ
কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ে চিকিৎসকের কিছু পরামর্শ
শিশুটিকে লাথি ও পাথর দিয়ে মাথা তেতলে হত্যা করে নেশাগ্রস্ত যুবক
নিষেধাজ্ঞার পরও পদ্মাসেতুর পিলারে লেখালেখি, আঁকিবুকি
ঐক্যফ্রন্ট এক সঙ্গে কাজ করছে না : ডা. জাফরুল্লাহ
উপকার হয় ও বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এমন কিছু দোয়া
news24bd.tv কামরুল