সুনামগঞ্জে পাথর মেরে শিশুকে খুন, ‘খুনী’ জেল-হাজতে

সুনামগঞ্জে পাথর মেরে শিশুকে খুন, ‘খুনী’ জেল-হাজতে

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের গুজাউড়া হাছননগরে এনামুল হক মুসা (তালহা) নামের চার বছরের শিশুকে মাথায় পাথর মেরে খুনের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। আটক যুবক ওমর ফারুককে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন নিহত তালহার চাচা নুর হোসেন।

মামলা দায়েরের পর খুনি ওমর ফারুককে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাগিব নূরের আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে, নিহত শিশু তালহার মরদেহ শনিবার বিকেলে তার হাসননগরের বাসভবনে পৌঁছালে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিকেলে ৫ টায় জানাজা শেষে হাসননগর কবরস্তানে তালহার দাফন সম্পন্ন হয়।

খুনি ওমর ফারক সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মঈনপুর গ্রামের মৃত ছান্দ আলীর ছেলে।

গতকাল ১১ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পৌরশহরের গুজাউড়া হাছননগরে এনামুল হক মুসাকে (তালহা) মাথায় পাথর মেরে নির্মমভাবে খুন করে ওমর ফারুক।

ঘটনার পরপর স্থানীয় লোকজন ঘাতক ওমর ফারুককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। শিশু খুনের পুরো ঘটনাটি পাশের একটি সিসিটিভির ক্যামেরা ধরা পড়েছে।

জানা যায়, শিশু তালহা শুক্রবার দুপুরে নিজ বাড়ির সামনে খেলা করছিল। এসময় রাস্তা দিয়ে যাওয়া আব্দুল হালিম নামের ওই যুবক প্রথমে তালহাকে লাথি দিয়ে মাটিয়ে ফেলে দেয়। এরপর ভারি পাথর ও ইট দিয়ে তালহার মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে তালহার মাথা তেতলে যায় ও প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। রাস্তায় মেটারসাইকেল দিয়ে যাওয়া এক পথচারীর চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন গুরুতর আহত তালহাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

পরে অবস্থার অবনিত হলে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বিকেলে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তালহাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: ‘গ্লোবাল নলেজ’ সূচকে পিছিয়ে বাংলাদেশ

ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে জোট করার চিন্তা মামুনুলের

সুনামগঞ্জ সদর থানা ওসি শহিদুর রহমান জানান, আটক ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন নিহত শিশু তালহার চাচা নুর হোসেন। ওমর ফারুককে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে জেল-হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর